যোগীর রাজ্যে পাঁচ টাকাতেই থালা ভরা খাবার!

পাঁচ টাকাতেই মিলবে পেটভরা নিরামিষ খাবার! রাজ্যের কোনও মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে। এমনই এক অভুতপূর্ব নির্দেশিকা জারি করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই উত্তরপ্রদেশ সরকার খুব শীঘ্রই চালু করতে চলেছে ‘অন্নপূর্ণা ভোজনালয়’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ১৯:০৩
Share:

পাঁচ টাকাতেই মিলবে পেটভরা নিরামিষ খাবার! রাজ্যের কোনও মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে। এমনই এক অভুতপূর্ব নির্দেশিকা জারি করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই উত্তরপ্রদেশ সরকার খুব শীঘ্রই চালু করতে চলেছে ‘অন্নপূর্ণা ভোজনালয়’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দুঃস্থ পরিবারের জন্য পাঁচ টাকায় এক থালা নিরামিষ খাবার পাওয়া যাবে।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের অফিস থেকে টুইটারের মাধ্যমে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই হল যাতে রাজ্যের এক জন মানুষও ক্ষুধার্ত না থাকেন। অন্নপূর্ণা ভোজনালয়গুলিতে অপরিমিত খাবার পরিবেশন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। প্রাতরাশে ওটমিল, চা, পকোড়া এবং পোহা দেওয়া হতে পারে। এই খাবারের দাম ধার্য করা হয়েছে তিন টাকা। দুপুর ও রাতের খাবারে থাকবে ভাত, রুটি, ডাল এবং মরসুমি সব্জির তরকারি। যার দাম পড়বে পাঁচ টাকা। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলে আধিকারিকদের তরফে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, মার্চ মাসে আদিত্যনাথ দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই এই প্রকল্পের খসড়া তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। তবে তা বাস্তবায়িত করতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ২০টি গ্রাম ঘিরে বড়সড় অভিযানে সেনা, সিআরপিএফ, পুলিশ

Advertisement

পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ২০০টি অন্নপূর্ণা ভোজনালয় নির্মাণের। এই ভোজনালয়গুলি মূলত শহর ও মফস্সল এলাকায় তৈরি হবে। এর থেকে যাতে দরিদ্র দুঃস্থ পরিবারগুলি উপকৃত হয় সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। এর আগে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা দেশের মধ্যে প্রথম এই ধরনের ভর্তুকিযুক্ত ক্যান্টিন চালু করেছিলেন। এই ক্যান্টিন ‘আম্মা ক্যান্টিন’ বলে পরিচিত ছিল। তবে আদিত্যনাথের নামকে এই ভোজনালয়গুলির ব্র্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা হবে না। বিজেপি সরকারের চালু করা ‘অন্নপূর্ণা রসোই’ (রান্নাঘর) রাজস্থানেও রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement