কৈলাস বিজয়বর্গীয়
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় দলের অন্দরমহলে তোপের মুখে। তাঁর নিজের রাজ্য মধ্যপ্রদেশে এক বিজেপি নেতা প্রকাশ্যে অভিযোগ তুলেছেন, কৈলাসই ২০১৮-র মধ্যপ্রদেশ ভোটে বিজেপির হারের জন্য দায়ী। এখন তিনি ফের তিন মাসের পুরনো শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকারে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছেন। মধ্যপ্রদেশের প্রবীণ বিজেপি নেতা ভৈরোঁ সিংহ শেখাওয়াত জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি কৈলাসের নামে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানাবেন।
সামনেই মধ্যপ্রদেশের ২৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। কমলনাথ সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতায় ফেরা শিবরাজের সরকার গদি টিকিয়ে রাখতে পারবে কি না, তা এই উপনির্বাচনের ফলাফলের উপরে নির্ভর করছে। তার আগে দলের বিবাদ প্রকাশ্যে আসায় বিজেপি অস্বস্তিতে পড়েছে। বাংলায় বিজেপি নেতারাও উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে অবহিত তৃণমূল নেতৃত্বও জল কোন দিকে গড়ায়, তার উপরে নজর রাখছে। রবিবার পশ্চিমবঙ্গের জন্য অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বিজেপির ভার্চুয়াল জনসভা করেছেন। সেখানে কৈলাস দিল্লি থেকে হাজির ছিলেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি।
কৈলাসের বিরুদ্ধে শেখাওয়াতের অভিযোগ, কৈলাস ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশের মালওয়া অঞ্চলে বিজেপির ১০ থেকে ১২ জনকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে খাড়া করেছিলেন। তাঁরা ভোট কাটায় বিজেপি প্রার্থীরা হারেন, শিবরাজ সরকারও ক্ষমতা হারায়। নিজে মুখ্যমন্ত্রী হতে চান বলেই কৈলাস ফের অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে মধ্যপ্রদেশের ২৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপিকে ৯টি আসন জিততেই হবে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়ায় এই সব আসনে উপনির্বাচন হবে। অন্য দু’টি আসনের বিধায়ক মারা গিয়েছেন। ওই ২২ জন বিধায়কের পদত্যাগেই কমলনাথ সরকার পড়ে যায়। কংগ্রেস এই ২৪টি আসনেই জিতলে ফের ক্ষমতায় ফিরতে পারে। উপনির্বাচনের আগে বিজেপির অন্দরে ক্ষোভের কারণ, কৈলাসের উদ্যোগে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোট কাটা নেতাদের ফের বিজেপিতে ফেরানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুখে নেই চিন-নাম, ‘দখল’ নিয়ে নীরব, প্রধানমন্ত্রীর জবাবে প্রশ্ন