বিজেপি-বিরোধী ফ্রন্ট গড়ে তোলার আবহে আজ, সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসার কথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর)। তার ২৪ ঘণ্টা আগেই তৃণমূল নেত্রীকে ফোন করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। সংসদে তেলুগু দেশম অনাস্থা প্রস্তাব শেষ পর্যন্ত আনলে তৃণমূল পাশে থাকবে বলেই চন্দ্রবাবুকে জানিয়েছেন মমতা। জাতীয় রাজনীতির ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে দু’জনের মুখোমুখি বসা যে দরকার, তা নিয়েও দুই মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
তেলুগু দেশমের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। চন্দ্রবাবুর দল এনডিএ থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা করার পরেও দু’দলের নেতৃত্বের মধ্যে বার্তা বিনিময় হয়েছিল। এর পরে রবিবার সন্ধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরিই ফোন করেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সূত্রের খবর, জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য অনাস্থা প্রস্তাবই চন্দ্রবাবুর মূল প্রতিপাদ্য ছিল। মমতাও বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে তাঁদের সায় আছে। তেলুগু দেশম সংসদে অনাস্থা আনলে তৃণমূল প্রয়োজনীয় ভূমিকা নেবে। তবে অন্ধ্রেরই অন্য নেতা, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের জগন্মোহন রেড্ডি যে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চাইছেন এবং যা নিয়ে চন্দ্রবাবুদের সংশয় আছে, সেই বিষয়ে মমতার সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না, তা নিয়ে দু’পক্ষই মুখ খোলেনি।
ফোনে আলোচনার ফাঁকে মমতাই চন্দ্রবাবুকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়েছেন, তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (টিআরএস) নেতা ও সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর আজ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। চন্দ্রবাবু তাঁকে বলেন, তাঁদের দু’জনেরও মুখোমুখি আলোচনা হলে ভাল হয়। তবে চন্দ্রবাবু কলকাতায় আসবেন, না কি এ মাসের শেষে মমতা দিল্লি গেলে সেখানে তিনি গিয়ে কথা বলতে পারেন— এ সব বিষয় এখনও ঠিক হয়নি। তৃণমূল সূত্রের খবর, সংসদের চলতি অধিবেশনের মধ্যেই এক বার দিল্লি যেতে পারেন মমতা। বিজেপি-বিরোধী নানা দলের নেতৃত্বের সঙ্গেই তখন কথা হতে পারে তাঁর।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান-সহ মোদীর সার্বিক বিদেশনীতিতে উদ্বিগ্ন মনমোহন
কালীঘাট মন্দিরের দর্শন সেরে আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার কথা কেসিআরের। তাঁর সঙ্গে থাকবেন টিআরএসের মহাসচিব ও সংসদীয় দলের নেতা কে কেশব রাও। বাংলায় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক থাকাকালীন কেশবের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল তৃণমূল নেত্রীর। কেসিআর-কন্যা এবং সাংসদ কে কবিতাও থাকতে পারেন প্রতিনিধিদলে। সাম্প্রতিক কালে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে ফ্রন্ট গড়ে তোলার ডাক আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম দিয়েছিলেন কেসিআর-ই।