কাজ না করার হতাশায় নিজেকেই জুতোপেটা কাউন্সিলরের। — ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
নির্বাচনের আগে নির্বাচকমণ্ডলীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেননি। সেই হতাশায় নিজেকেই জুতোপেটা করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের এক কাউন্সিলর। নিজেকে জুতো মারার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। একই সঙ্গে ডানা মেলেছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
অন্ধ্রের আনাকাপল্লি জেলার নারসিপাটনাম পুরসভার কাউন্সিলর ৪০ বছরের মুলাপার্থী রামারাজু। তাঁর অভিযোগ, নিজের ওয়ার্ডের লোকজনকে ভোটের আগে যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন, তার কিছুই পূরণ করতে পারেননি। আর না পারার কারণ পুর কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রামারাজু বলেন, ‘‘কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর ৩১ মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু আমি নালা, বিদ্যুৎ, নিকাশি, রাস্তা-সহ পুর পরিষেবা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছি।’’
তাই নিজের হতাশার কথা জানাতে রামারাজু বেছে নিয়েছিলেন পুর কর্তৃপক্ষের বৈঠককে। সেখানে তিনি নিজেকে জুতো মারেন। যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সর্বত্র। তাঁর দাবি, যে পরিস্থিতি, তাতে পুর বৈঠকেই মরে যাওয়া ভাল ছিল। কারণ, এখন তাঁর ওয়ার্ডে তাঁকে কাজ না করার জন্য প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।
অন্ধ্রের তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) সেই ভিডিয়োটি নিজের টুইটার হ্যান্ডলে শেয়ার করেছে। সেখানে রামারাজুকে দেখা যাচ্ছে, তিনি মাইকে কিছু বলতে বলতে কেঁদে ফেলছেন। তার পর জুতো তুলে নিয়ে নিজের গালেই বসাচ্ছেন সপাটে। এ রকম চলে বেশ কিছু ক্ষণ। গোটাটাই ধরা পড়ে ভাইরাল ভিডিয়োয় (ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। ঘটনাচক্রে, পুরভোটে রামারাজুকে সমর্থন জানিয়েছিল চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি। টুইটে টিডিপি লিখেছে, ‘‘রামারাজু লিঙ্গাপুরম গ্রামের একজন আদিবাসী জনপ্রতিনিধি। তিনি তেলুগু দেশম পার্টির সমর্থনে ভোটে জিতেছিলেন। গত ৩০ মাস ধরে জনপ্রতিনিধি হিসাবে থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজের ওয়ার্ডে একটি জলের কলও বসাতে পারেননি।’’