বাড়ির একটা অংশে তৈরি করা সেই পাঠাগারে আপাতত এক হাজার বই রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিষ্ণুর বাবা সত্যন। প্রতীকী ছবি।
গত বছরে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ছেলে। সন্তানের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে বাড়ির সামনেই একটি পাঠাগার খুললেন এক প্রৌঢ় দম্পতি। এক হাজার বই রেখেছেন সেই পাঠাগারে।
গত বছর ৬ অগস্ট ৬৬ নম্বর জাতীয় সড়কে এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কেরলের আলাপ্পুঝার বাসিন্দা বিষ্ণুর। আইটিআই পাশ করে একটি সংস্থায় টেকনিশিয়ানের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। পরে কেরল স্টেট ড্রাগ অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালে যোগ দেন। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল বছর পঁচিশের বিষ্ণুর।
একমাত্র সন্তান হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন পিজি সত্যন এবং রাধা। সত্যন জানান, বিষ্ণু পরোপকারী ছেলে ছিল। আঁকা, ছবি তোলা এবং গানেও ওঁর শখ ছিল। অতিমারির সময়ে ফোটোগ্রাফির অনলাইন প্রতিযোগিতায় পুরস্কারও পেয়েছিলেন।
বিষ্ণুর এক বন্ধু সাই কিরণ বলেন, “আমরা ওকে পরোপকারী হিসাবেই চিনি। পাড়ায় কেউ বিপদে পড়েছে শুনলেই সাহায্যের জন্য ছুটে যেত। হঠাৎ এ ভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতে পারিনি।”
বিষ্ণুর মৃত্যুর পর থেকে বন্ধুরাই তাঁর বাবা-মাকে নানা ভাবে সহযোগিতা করছেন। বিষ্ণু পড়াশোনায় ভাল ছিলেন। বই পড়তে খুব ভালবাসতেন। ছেলের সেই শখকে বাঁচিয়ে রাখতে তাঁরই স্মৃতিতে পাঠাগার খোলার চিন্তাভাবনা করেন সত্যন এবং রাধা। এ কাজে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন বিষ্ণুর বন্ধু এবং সহকর্মীরা।
বাড়ির একটা অংশে তৈরি করা সেই পাঠাগারে আপাতত এক হাজার বই রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সত্যন। তাঁর কথায়, “পাঠাগার খোলার মতো আর্থিক সামর্থ আমাদের নেই। যে হেতু আমার ছেলে পড়তে ভালবাসত, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বাড়ির সামনের অংশে পাঠাগার তৈরি করে ছেলের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখব।”