—প্রতীকী চিত্র।
দিন কয়েক আগে অনলাইনে অর্ডার করা আইসক্রিম কোন খেতে গিয়ে তার মধ্যে মানুষের আঙুল পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন মুম্বইয়ের মালাডের এক চিকিৎসক। ব্র্যান্ডন ফেরারো নামে বছর ছাব্বিশের ওই চিকিৎসক থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ পেয়ে গত শুক্রবার বিকেল থেকে পুণের ইন্দপুর তালুকায় একটি ডেয়ারি সংস্থার কারখানায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)। গত কাল সকাল থেকে ওই কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ওই ডেয়ারি সংস্থাকে ওই সংস্থাটি আইসক্রিম তৈরির বরাত দিত। গত বুধবার একটি বাটারস্কচ আইসক্রিমের কোন খেতে গিয়ে মুখের মধ্যে বড় মাংসের টুকরো পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ব্র্যান্ডন। তাঁর দাবি, তিনি প্রথমে সেটিকে বড় বাদাম মনে করলেও পরে বুঝতে পারেন যে সেটি মানুষের হাতের আঙুল। কারণ তাতে নখও ছিল।
গত কাল ওই কারখানা বন্ধের নোটিস দেওয়ার পর থেকেই পুরো চত্বর খাঁ খাঁ করছে। ইন্দপুর থানার এক অফিসার জানিয়েছেন, মালাড থানার সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রেখে চলছেন। ওই অফিসারের কথায়, ‘‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এই এলাকায় সম্প্রতি কারও কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। বা আঙুল বাদ যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।’’
এই ঘটনার সঙ্গেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল নয়ডার সেক্টর-১২-এর বাসিন্দা দীপা নামের এক মহিলার ভিডিয়ো। তিনি গত কাল অনলাইনে আইসক্রিমের টাব কিনেছিলেন। মরা বিছে টাবের ঢাকনায় আটকে থাকতে দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান। তার পরেই ভিডিয়ো করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন দীপা। খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা সেই ভিডিয়োর কথা জেনে দ্রুত তাঁর বাড়ি পৌঁছন। ওই ডেলিভারি অ্যাপ সংস্থার দফতরেও তল্লাশি চলেছে।