শুক্লজির ‘উপহার’-এ অভিভূত রামিজ

অফিস থেকে বেরিয়ে প্রার্থনায় যেতে হবে। বেশি সময়ও হাতে নেই। তড়িঘড়ি করে অফিস থেকে বেরিয়েই সামনেই একটি অটোতে উঠে পড়ে মুম্বইয়ের বাসিন্দা রামিজ শেখ চালককে বলেছিলেন গন্তব্যস্থলে নিয়ে যেতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৬ ১৮:২১
Share:

অটোচালক শুক্লজি। ছবি: ফেসবুক।

অফিস থেকে বেরিয়ে প্রার্থনায় যেতে হবে। বেশি সময়ও হাতে নেই। তড়িঘড়ি করে অফিস থেকে বেরিয়েই সামনেই একটি অটোতে উঠে পড়ে মুম্বইয়ের বাসিন্দা রামিজ শেখ চালককে বলেছিলেন গন্তব্যস্থলে নিয়ে যেতে। সেখানে পৌঁছে চালককে টাকা দিতে গিয়ে দেখেন, সর্বনাশ! তাড়াহুড়োতে অফিসেই টাকার ব্যাগটা ফেলে এসেছেন। কী ভাবে অটোচালককে ভাড়া দেবেই ভেবেই অস্থির রামিজ। এ দিকে প্রার্থনারও সময় প্রায় দোরগোড়ায়! রামিজের মুখের দিকে তাকিয়ে চালক বুঝে গিয়েছিলেন কিছু একটা ঘটেছে। রামিজ অটোচালককে বলেন, “আপনি একটু অপেক্ষা করুন, প্রার্থনা সেরে আবার অফিসেই ফিরে যাব।”

Advertisement

চালক তখন রামিজকে বলেন, “ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে এসেছেন, নিশ্চিন্তে যান। টেনশন করবেন না। কিন্তু আমি অপেক্ষা করতে পারব না। আমাকে এগিয়ে যেতে হবে।”

কী বলবেন তাঁকে রামিজ ভেবে পাচ্ছিলেন না। হঠাত্ই তাঁকে চমকে দিয়ে চালক তাঁর পকেট থেকে কিছু টাকা রামিজের হাতে তুলে দেন। রামিজ বলেন, “সত্যিই ভাবতে পারিনি এমনটা হবে। তিনি অপেক্ষা করতে পারবেন না বলেছিলেন ঠিকই, কিন্তু আমি যাতে ফের অফিসে পৌঁছতে পারি তার জন্য টাকাও দিলেন!”

Advertisement

অটোর সামনে গণেশের বড় ছবি। মাথায় তাঁর লাল তিলক কাটা। সেই অটোচালক শুক্লজি নামেই পরিচিত।

পুরো ঘটনাটা ফেসবুকে পোস্ট করেন রামিজ। ৮ হাজারেরও বেশি শেয়ার হয়েছে এই পোস্টটি।

আরও খবর...

আমার উপর রেগে? দৃষ্টিহারাকে মেহবুবা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement