খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ এবং তাঁর স্ত্রী কিরণদীপ কউর। ছবি: সংগৃহীত।
দুবাই থেকে তাইল্যান্ড অবাধ যাতায়াত ছিল খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহের। তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। শুধু তাই-ই নয়, গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, ব্রিটিশ নাগরিক কিরণদীপকে বিয়ে করলেও, তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার করতেন অমৃতপাল। অভিযোগ, কিরণদীপকে ঘরে আটকে রেখে প্রায়ই মারধর করতেন তিনি।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতেই কিরণদীপের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল খলিস্তানি নেতার। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, নিজের অতীত নিয়ে কারও সঙ্গে খুব একটা আলোচনা করতেন না অমৃতপাল। সব সময় আশঙ্কা করতেন, অতীত ফাঁস হয়ে গেলে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যাবে। তাই বিষয়টি নিয়ে খুব সচেতন থাকতেন তিনি। ২০২২ সালে ভারতে আসেন অমৃতপাল। তার আগে দুবাইতেই থাকতেন তিনি। সেখানে ট্রাকচালকের কাজ করতেন। ভারতে আসার পরই দীপ সিধুর সংগঠন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’র প্রধান পদে দায়িত্ব পান।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, তাইল্যান্ডে ঘন ঘন যাতায়াত ছিল অমৃতপালের। সেখানে একাধিক মহিলার সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল তাঁর। তাইল্যান্ডে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, তাইল্যান্ডে যৌনব্যবসার সঙ্গেও অমৃতপাল জড়িত রয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দুবাইয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে অমৃতপালের। শুধু তাই-ই নয়, সেই সূত্র ধরে যশবন্ত সিংহ নামে এক মাদক পাচারকারীর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। এই যশবন্তের ভাই পাকিস্তান থেকে মাদক পাচারের ব্যবসা পরিচালনা করেন।
অমৃতপালের এখনও হদিস পায়নি পুলিশ। গত রবিবার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পঞ্জাব ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। পঞ্জাব ছাড়ার পর হরিয়ানায় বলজিৎ কউর নামে এক মহিলার বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার অমৃতপালের দেহরক্ষী তেজেন্দ্র সিংহ ওরফে গোর্খা বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার অমৃতপালের আরও এক সঙ্গীও গ্রেফতার হয়।