এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনার মধ্যেই উঠল নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন। দুবাই থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের যাত্রীআসনের পকেটে মিলল কার্তুজ। কী ভাবে বিমানের মধ্যে তা এল, তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
গত ২৭ অক্টোবর দুবাই থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে কার্তুজ পাওয়ার ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র শনিবার জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার এআই৯১৬ বিমানটি দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরই ঘটনাটি নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিমানে থাকা প্রত্যেক যাত্রী সুরক্ষিত বলেও জানান এয়ার ইন্ডিয়ার ওই মুখপাত্র।
চলতি সপ্তাহে সোমবারই দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। যদিও পরে বিমানে তল্লাশি চালিয়ে কোনও সন্দেহনক কিছু মেলেনি। তার মধ্যেই এ বার কার্তুজ আতঙ্ক। কী ভাবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে বিমানের মধ্যে কার্তুজ এল তা-ও রহস্য!
গত কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিক ভাবে একাধিক ভারতীয় বিমান সংস্থার কাছে বোমা হামলার হুমকি পাঠানো হচ্ছে। অন্তর্দেশীয় বিমান তো বটেই, আন্তর্জাতিক বিমানেও ছড়ানো হচ্ছে বোমাতঙ্ক। একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। কারা এই ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে বোমাতঙ্ক। সেই দিকে নজর রেখে এক্স (সাবেক টুইটার), মেটার মতো সমাজমাধ্যমকে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতারির সংখ্যাও বাড়ছে।