পটনায় যোগাসনে বসবেন অমিত শাহ

যোগ করে ভোট টানবেন অমিত শাহ! আগামী ২১ জুন পটনা শহরে দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাসনে সামিল হবেন বিজেপি সভাপতি। আজ দলের তরফে নেতা-কর্মীদের ওই সভায় হাজির থাকার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৫ ০৩:২৪
Share:

যোগ করে ভোট টানবেন অমিত শাহ! আগামী ২১ জুন পটনা শহরে দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাসনে সামিল হবেন বিজেপি সভাপতি। আজ দলের তরফে নেতা-কর্মীদের ওই সভায় হাজির থাকার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ওই সভায় এনডিএ শরিক নেতাদের সামিল করতেও চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। ভোটারদের দলের প্রতি আকৃষ্ট করতে এবং দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে যোগের পথেই হাঁটতে চাইছে বিজেপি। আর এই যোগের আসরে পটনায় অমিত শাহকে পেয়ে উল্লসিত দলীয় নেতা-কর্মীরা। এমনিতে আরজেডি-জেডিইউ-কংগ্রেস জোট নিয়ে কিছুটা হলেও ‘ব্যাক ফুট’-এ রয়েছে বিজেপি তথা এনডিএ। বিজেপি নেতারা ইতিমধ্যেই নিয়মিত পটনা এসে এই জোটকে ‘অনৈতিক’ এবং ‘সুবিধাবাদী’ আখ্যা দিয়ে চলেছেন। আজ পটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন তো আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেছেন, ‘‘লালু-নীতীশ সমাজবাদী নন। তাঁরা কংগ্রেসবাদী।’’ পাশাপাশি, দলছুট জনতা-নেতাদের নিজেদের দলে কিংবা জোটে সামিল করতে তত্পরতা বেড়েছে বিজেপি শিবিরে। এক দিকে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে আরজেডি থেকে বহিষ্কৃত পাপ্পু যাদবের সঙ্গে, অন্য দিকে নিরন্তর কথা বলা হচ্ছে দলিত নেতা জিতনরাম মাঁঝির সঙ্গে।

বহিষ্কৃত আরজেডি সাংসদ রাজীব রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব জন অধিকার পার্টি নামে নতুন দলও তৈরি করেছেন। নিজেকে যাদব নেতা হিসেবে তুলে ধরতে তিনি মরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘যাদবদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন লালুপ্রসাদ।’’ বেশ কয়েক জন যাদব নেতার নাম করে পাপ্পুর অভিযোগ, এঁদের রাজনৈতিক জীবন লালুপ্রসাদ শেষ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নীতীশ কুমার ও লালুপ্রসাদ দু’জনেই সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছেন। উন্নয়নের নামে ধোঁকা দিয়েছেন।’’ সূত্রের খবর, লালুর ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরাতে পাপ্পুর সাহায্য যে বিজেপি নেবে তা কার্যত সুনিশ্চিত।

Advertisement

অন্য দিকে, লালুপ্রসাদ-নীতীশ কুমারের জোট ক্ষমতায় আসবে না বলে আজ ফের তোপ দেগেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম। আগামী কাল তিনি দিল্লি যাবেন বলেও জানিয়েছেন। বিজেপির সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনাও শুরু করেছেন মাঁঝি। তাঁর দলের কর্মীদের দাবি, ৫০টি আসনে লড়়াই করতে চান তাঁরা। তবে বিজেপি মাঁঝিকে ১০-১২টি আসন দিতে রাজি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement