(বাঁ দিক থেকে) মল্লিকার্জুন খড়্গে, নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। —ফাইল ছবি।
মল্লিকার্জুন খড়্গের মোদী-মন্তব্যকে ‘রুচিহীন’ বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিজের শারীরিক পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে ‘অহেতুক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম টেনে আনার’ জন্য কংগ্রেস সভাপতির সমালোচনাও করেছেন তিনি। সোমবার সকালে সমাজমাধ্যমে শাহ লেখেন, “খড়্গেজি অহেতুক নিজের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে টেনে আনেন।” তার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, এই ধরনের মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্পর্কে কংগ্রেসিদের ঘৃণা এবং ভয়ের দিকটি প্রকাশ করে দেয়।
রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় একটি প্রচারসভায় গিয়ে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন খড়্গে। বক্তব্যের মাঝে হঠাৎই ভারসাম্য হারান তিনি। তবে বড় বিপদ হওয়ার আগেই দলের নেতা-কর্মীরা প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতাকে ধরে ফেলেন। তাঁকে চেয়ারে বসানো হয়। তবে কিছু ক্ষণ পরেই নিজেকে সামলে নিয়ে ফের স্বমেজাজে ফেরেন কংগ্রেস সভাপতি। উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, “আমার বয়স ৮৩। আমি এত তাড়াতাড়ি মরব না।” তার পরেই তাঁর সংযোজন, “মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত আমি বেঁচে থাকব।”
খড়্গের এই মন্তব্যকে ‘রুচিহীন’ বলে মনে করছে বিজেপি। সোমবার শাহ কংগ্রেস সভাপতি খড়্গের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। খড়্গে জানিয়েছিলেন, মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত না করে তিনি মরতে চান না। তার পাল্টা সোমবার শাহ বলেন, “আমরা সকলেই চাই যে উনি (খড়্গে) দীর্ঘ দিন বাঁচুন। যেন উনি অনেক বছর বাঁচতে পারেন এবং ২০৪৭ সালে দেখে যেতে পারেন যে, বিকশিত ভারত তৈরি হচ্ছে।” এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে করা শাহের এই পোস্টকে সমর্থন জানিয়ে আর একটি পোস্ট করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
শাহি মন্তব্যের পাল্টা মুখ খুলেছে কংগ্রেসও। দলের তরফে জয়রাম রমেশ বলেন, “খড়্গেজি সামান্য অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার পর তিনি ফের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও উচিত নিজের কাজে মন দেওয়া। মণিপুরেও নজর দেওয়া উচিত তাঁর।”