অমিত শাহ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে তোলপাড় অসম-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব। অশান্ত পরিস্থিতি অস্বস্তিতে ফেলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। তাই আজ সেখানকার জনগণ তথা জনজাতিদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বলা হল, ষষ্ঠ তপসিল এবং ইনার লাইন পারমিট এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীরা সংশোধিত আইনে নাগরিকত্বের আবেদন জানালে, তা গ্রাহ্য হবে না।
উত্তর-পূর্বের অধিকাংশ রাজ্যে আশঙ্কা, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ভূমিপুত্ররাই সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। তবে অশান্তি এতটা ছড়াবে, ধারণায় ছিল না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। তাই উত্তর-পূর্বের মানুষকে বার্তা দিতে তৎপর হল অমিতের মন্ত্রক। জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীরা ওই আইনের ফলে আপনা থেকেই নাগরিকত্ব পাবেন না। সে জন্য তাঁকে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে হবে। তিনি যদি শর্তগুলি পূরণ করেন তবেই নাগরিকত্ব পাবেন।
কিন্তু বিজেপি বরাবরই নিঃশর্ত নাগরিকত্বের প্রশ্নে সওয়াল করে এসেছে। মন্ত্রক জানাল, নাগরিকত্ব মিলবে শর্ত পূরণ করলে। তবে ওই ব্যক্তি যে শরণার্থী বা বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিলেন— সেই প্রমাণ দিতে হবে কি না, মন্ত্রক তা স্পষ্ট করেনি।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব-এনআরসি আবহেই চার মাসেই রামনন্দিরের প্রতিশ্রুতি অমিত শাহের মুখে
মন্ত্রকের আধিকারিকদের মতে, ষষ্ঠ তফসিল এবং ইনার লাইন পারমিট এলাকায় এখনও বহিরাগতেরা জমি-বাড়ি কিনতে পারবেন না। ফলে জনজাতিদের জমি হারানোর ভয় অমূলক। অমিতের কথায়, ‘‘কিছু রাজনৈতিক দল পরিকল্পিত ভাবে ভুল প্রচার চালাচ্ছে।’’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পেয়ে জনজাতিদের এলাকা দখল নেবেন বলে ভুল প্রচার চলছে।’’
এরই মধ্যে, কয়েক দিন ধরে সংঘর্ষ-বিক্ষোভ দেখে আজ সব রাজ্যকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। হিংসা রুখতে ও নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। ভুয়ো খবর ও সামাজিক মাধ্যমে হিংসা ছড়াতে পারে এমন গুজব আটকানোর জন্যও পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।