ছবি: সংগৃহীত।
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি তাঁদের দাবিদাওয়াও মেনে নেওয়া হবে। শনিবার রাতে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। তবে আলোচনার পাশাপাশি তার সঙ্গে ‘শর্ত’ও জুড়ে দিয়েছেন শাহ। তাঁর দাবি, আলোচনার আগে বিক্ষোভ বন্ধ করতে হবে কৃষকদের। কিন্তু, কৃষকেরা অমিতের ‘শর্ত’ মেনে নেন কি না, শনিবার রাতে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত সে বিষয়ে বিক্ষুব্ধদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বিক্ষুব্ধ কৃষকদের উদ্দেশে শাহ বলেন, “সরকার স্বেচ্ছায় কৃষকদের সমস্ত সমস্যা সমাধান তথা দাবিদাওয়া মেটানোর জন্য প্রস্তুত।” সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন, রাজধানীতে প্রবল ঠান্ডার মধ্যে বিক্ষোভরত কৃষকদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে তাঁদের অন্যত্র সরানোর বন্দোবস্ত করা হবে। তাঁর কথায়, “কৃষকেরা জাতীয় সড়কের বহু জায়গায় ট্র্যাক্টর-ট্রলির উপর বসবাস করছেন। আমি তাঁদের কাছে অনুরোধ করছি, দিল্লি পুলিশ তাঁদের বড় জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে তৈরি রয়েছে। সেখানে যাতে কর্মসূচি পালন করতে পারেন, তার জন্য আপনাদের দিল্লি পুলিশ অনুমোদন দেওয়া হবে।”
নরেন্দ্র মোদী সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। রাজধানী দিল্লি বিক্ষোভের শামিল হতে কৃষকদের লং মার্চ করে জড়ো হতে থাকেন পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায়। তবে রাজধানীতে বিক্ষোভের অনুমতি মেলেনি। কৃষকদের হঠাতে জলকামানও ব্যবহার করেছে পুলিশ। তবে তাতেও দমানো যায়নি বিক্ষুব্ধ কৃষকদের। ‘দিল্লি চলো’ মার্চের অঙ্গ হিসেবে শুক্রবার পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। শনিবারও সেই আন্দোলনের তীব্রতা বজায় ছিল। কৃষক সংগঠনগুলির কাছে আলোচনার দরজা খুলে রাতে শাহ বলেন, “কৃষক ইউনিয়নগুলি যদি ৩ ডিসেম্বরের আগে আলোচনা করতে চায়, তবে তাদের আশ্বাস দিচ্ছি, আপনার প্রতিবাদ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেলে পরের দিনই সরকার আলোচনায় বসবে।”
আরও পড়ুন: প্যাংগং হ্রদের সুরক্ষা বাড়াতে মোতায়েন নৌসেনার বিশেষ কমান্ডো
আরও পড়ুন: শুভেন্দু দলত্যাগ করবেন ধরেই কৌশল সাজাচ্ছেন মমতার সৈনিকরা