রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে অমিত শাহ (মাঝে), এস জয়শঙ্কর (বাঁ দিকে)। ছবি: এক্স।
সর্বদল বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবনে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে কী নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই বিষয়ে শাহ বা জয়শঙ্করও মুখ খোলেননি। তবে প্রশাসনের একটা সূত্র মনে করছে, সর্বদল বৈঠকে বড় কোনও সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে পারে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে শাহ এবং জয়শঙ্কর কথা বলেন বলে খবর।
পহেলগাঁও হামলার পরে বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠকের ডাক দেয় মোদী সরকার। নর্থ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ‘পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করবেন’। বৈঠকে থাকার কথা শাহেরও। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস এই সর্বদল বৈঠক ডাকার দাবি তুলেছিল। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে জানিয়েছিলেন, এই পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করার পক্ষপাতী তাঁরা নন। হামলার পরে শাহের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তখনই তিনি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের উচিত সর্বদল বৈঠক ডেকে বিষয়টি পর্যালোচনা করা।’’ খড়্গের ওই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরে সর্বদল বৈঠকের ডাক দেয় মোদী সরকার। ওই বৈঠকে কী হয়, আপাতত সে দিকেই নজর গোটা দেশের।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তও ঘোষণা করেছে বিদেশ মন্ত্রক। এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানিদের যে ভিসা দিয়েছে নয়াদিল্লি, তা ২৭ এপ্রিল থেকে বাতিল বলে ধার্য করা হবে। কিছু পাকিস্তানি মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে এ দেশে চিকিৎসা করাতে আসেন। পাকিস্তানিদের দেওয়া সেই মেডিক্যাল ভিসা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বৈধ থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। তার পরেই ওই ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। পাশাপাশি, ভারতীয়দেরও কিছু পরামর্শ দিয়েছে তারা। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে ভারতীয় নাগরিকেরা এখন পাকিস্তানে রয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে দেশে ফিরতে হবে। এখন সে দেশে আর সফরও করা যাবে না।