সময়ই তো দিতে পারছেন না অমিত, চিন্তা বাড়ছে বিজেপির

এমন হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি বিজেপি। আরও বড় প্রশ্ন হল, আগামী দিনে দলে অমিত শাহের ভূমিকাই বা কী হবে? 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৫০
Share:

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার নয়াদিল্লিতে। পিটিআই

মাথার উপরে নরেন্দ্র মোদী। লোকসভায় আরও বেশি শক্তি নিয়ে। কিন্তু রাজ্য হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে এক এক করে।

Advertisement

ঝাড়খণ্ডের ফলের পরে অর্ধেক হিন্দি বলয়ও আর নেই বিজেপির দখলে।

সামনেই দিল্লি, তার পরে বিহার। পরে আরও কয়েকটি রাজ্যে ভোট। সামাল দেওয়াই বা যাবে কী করে? নয়া নাগরিকত্ব আইন কিংবা জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (এনপিআর) পালন না করার ডাক দিচ্ছে বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলি। হারের অন্যতম কারণ— শরিকরাও বেঁকে বসছে। কে সামলাবেন তাঁদের?

Advertisement

এমন হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি বিজেপি। আরও বড় প্রশ্ন হল, আগামী দিনে দলে অমিত শাহের ভূমিকাই বা কী হবে?

বছর গড়ালেই বিজেপির সভাপতি পদে বদল হওয়া প্রায় পাকা। এই মুহূর্তে অমিত শাহ একাধারে বিজেপির সভাপতি এবং নরেন্দ্র মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সভাপতি পদ এ বার যেতে পারে কার্যনির্বাহী সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডার হাতে। বিজেপির একাধিক নেতা বলছেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরে দলের কাজে বেশি সময় দিতে পারেন না অমিত শাহ। ফলে কর্তৃত্বের সঙ্গে সংগঠন ও নির্বাচনের ‘মাইক্রোম্যানেজমেন্ট’ যে ভাবে তিনি করতে পারেন, সেটি এখন হচ্ছে না। তারই খেসারত দিতে হচ্ছে একের পর এক ভোটে। আবার এটিও ঠিক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পরে সঙ্ঘ-বিজেপির আদর্শ রূপায়ণের ভারও তাঁর হাতে। তিনিই এ সবের মুখ। সভাপতির পদ পাকাপাকি ছেড়ে দিলে দলের কী হবে!’’

উত্তর যে বিজেপি নেতাদের কাছে আছে, তা নয়। তবে দলের মধ্যে এই নিয়ে এখন জোর আলোচনা চলছে। রাহুল গাঁধীর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা প্রবীণ চক্রবর্তী হিসেব দিচ্ছেন, ছ’মাস আগে হয়ে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনের পর দেশে মোট ৩১৪টি আসনে বিধানসভা ভোট হয়েছে। লোকসভার নিরিখে এই বিধানসভা আসনগুলির মধ্যে ২৫৭টি জিতেছিল বিজেপি। পেয়েছিল ৫৫ শতাংশ ভোট। অথচ আসল বিধানসভা ভোটের সময় তা কমে হয়েছে ৪০ শতাংশ, বা ১৫৫ আসন। অর্থাৎ, মাত্র ৬ মাসে বিজেপির জনপ্রিয়তা ১৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। আসনের হিসেবে ১০২টি।

বিজেপির অনেক নেতা অবশ্য যুক্তি দিচ্ছেন, শরিক কাঁটায় হারছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে জিতেও ধোকা দিয়েছে শিবসেনা। ঝাড়খণ্ডে ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’-এর সঙ্গে জোট হলে রাজ্যে অর্ধেকের বেশি আসন ও ৪২ শতাংশের বেশি ভোট পেত বিজেপি জোট। বিজেপির নেতা অমিত মালব্য বলেন, ‘‘এর পরে বিজেপি সব আসনেই ফের ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাওয়ার চেষ্টা করা হবে।’’ কিন্তু কী ভাবে? নড্ডাকে দিয়ে কি হবে? অমিত শাহের মতো মোদীর ‘আস্থাভাজন’ কাউকে পাওয়া যাবে?

উত্তর খুঁজছে দল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement