নজরে ‘অনুপ্রবেশ’। ফাইল চিত্র।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, তেলঙ্গানা। বছর শেষের নির্বাচনী বৈতরণী পেরোতে ‘অনুপ্রবেশকারী’ ইস্যুকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে বিজেপি শিবির। কিছুদিন আগেই রাজস্থানের একটি জনসভায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ‘উইপোকা’ বলায় শালীনতার সীমা ছাড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-র বিরুদ্ধে। এবার মধ্যপ্রদেশেও অনুপ্রবেশকারীদের ‘উইপোকা’ বলে অমিত বুঝিয়ে দিলেন, অসমের নাগরিকপঞ্জিকে নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে তুলে ধরাটাই বিজেপির কৌশল। শুধু নাগরিকপঞ্জিই নয়, নির্বাচনী জনসভায় বিজেপি সভাপতি তুলে আনলেন পাঁচ বছর পুরনো মনমোহনের প্রসঙ্গও।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই ম্যাচ এখন মূলপর্বে। বিভিন্ন প্রাথমিক জনমত সমীক্ষায় খুব একটা ভাল জায়গায় নেই বিজেপি শিবির। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী প্রশ্ন আর দেশের সুরক্ষাই আপাতত বিজেপির তুরুপের তাস। মধ্যপ্রদেশের রাতলামে অমিত শাহ-র জনসভায় মিলল সেই ইঙ্গিত। অসমে কী ভাবে চল্লিশ লক্ষ অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে, কী ভাবে তাঁদের এক এক করে দেশ থেকে তাড়ানো হবে, বিস্তারিত ভাবে সেই ব্যাখ্যাই দিলেন অমিত শাহ। দেশের সুরক্ষার জন্য একটি উইপোকাকেও ভারতে থাকতে দেওয়া হবে না বলে এ দিন বেশ চড়া সুরেই তোপ দাগেন বিজেপি সভাপতি।
অবশ্য শুধু নাগরিকপঞ্জি নয়, প্রচারে অমিত টেনে এনেছেন মনমোহন সিংহের বিদেশ সফর প্রসঙ্গ। মোদীর ঘন ঘন বিদেশ সফর নিয়ে সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়ে তিনি সামনে আনলেন মনমোহনকেই। তাঁর অভিযোগ, একের পর এক বিদেশ সফর মনমোহনও করতেন। আর বিদেশ সফরে গিয়ে সনিয়া গাঁধীর লিখে দেওয়া চিঠি পাঠ করা ছাড়া আর কোনও কাজ ছিল না ‘মৌনিবাবা’ মনমোহনের, সেখানে নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফরে স্লোগান দিতে দিতে মানুষেরা তাঁকে অভিনন্দন জানান, এমনটাই জানিয়েছেন অমিত। রাতলামের জনসভায় মনমোহনকে তুলে আনা আসলে মোদীকে আড়াল করার কৌশল, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ঘোষণার সময় পিছিয়ে গুরুতর প্রশ্নে নির্বাচন কমিশন
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)