অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব সভার পরিকল্পনা ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শাহ নিজে টুইট করে জানালেন, তাঁর সোয়াইন ফ্লু হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘অমিত শাহ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। রাজ্যে তাঁর সভার যে পরিকল্পনা হয়েছে, তা প্রয়োজনে বদলাতে হবে।’’ দিলীপবাবু বুধবার সকালে জানিয়েছিলেন, ২০ তারিখ মালদহে, ২১ তারিখ সিউড়ি ও ঝাড়গ্রামে এবং ২২ তারিখ জয়নগর ও কৃষ্ণনগরে সভা করবেন শাহ। কিন্তু এখন সেই সফর অনিশ্চিত।
গত দু’দিন ধরে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও বুকের সংক্রমণে ভুগছিলেন শাহ। নয়াদিল্লির এইমসে পালমোনোলজিস্ট রণদীপ গুলেরিয়ার তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয় তাঁকে। দিলীপবাবু জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে এ রাজ্যে আরও দু’টি জনসভা করতে পারেন তিনি। দলীয় সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর ওই দু’টি সভা হতে পারে ২৮ ও ৩১ জানুয়ারি। এ রাজ্যে গণতন্ত্র বাঁচাও সভা করার কথা রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়ী, অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, যোগী আদিত্যনাথ-সহ কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের অনেকেরই।
আরও পড়ুন: ভোট মরসুমে কোনও সুযোগই হাতছাড়া করছেন না, উদ্বোধনের টানে দেশ জুড়ে দৌড় মোদীর
তবে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী রথযাত্রার জন্য একটি নতুন আবেদনপত্র নিয়ে এ দিন নবান্নে যান বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। সেখানে বলা হয়েছে, ২০, ২১ এবং ২২ তারিখ কোচবিহার, কৃষ্ণনগর, হলদিয়া ও তারাপীঠ থেকে ১০ দিন ধরে রথযাত্রা করতে চায় দল। বিজেপি নেতারা অবশ্য বলছেন, রথযাত্রায় রাজ্য সরকারের অনুমতির আশা তাঁরা করছেন না। তবে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব বা রাজ্য পুলিশের ডিজি—কেউই এ দিন দেখা করেননি জয়প্রকাশবাবুর সঙ্গে। নবান্নের রিসিভিং বিভাগ খোলা না থাকায় ভবানী ভবনে গিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি’র দফতরে চিঠি জমা করার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে। তবে তিনি জানান, আজ, বৃহস্পতিবার ফের চিঠি দিতে যাবেন নবান্নে।