অসন্তোষ বন্ধে নেতাদের কাজ দিলেন অমিত

পাঁচ রাজ্যে হারের পর দলের বিক্ষুব্ধ অংশ, অসন্তুষ্ট শরিক ও বিরোধীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে শুরু করেছেন নিতিন গডকড়ী, রাজনাথ সিংহের মতো নেতারা। সুষমা স্বরাজ আগেই ভোটে না লড়ার কথা জানিয়েছেন। একমাত্র অরুণ জেটলি ছাড়া মোদীকে আড়াল করছেন না কেউই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৭
Share:

অমিত শাহ।—ফাইল চিত্র।

নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিজেপির ভিতর থেকেই। অসন্তোষের মাত্রা বাড়তে দেখে নেতাদের ভোটের কাজ ধরিয়ে দিল মোদী-শাহ জুটি।

Advertisement

পাঁচ রাজ্যে হারের পর দলের বিক্ষুব্ধ অংশ, অসন্তুষ্ট শরিক ও বিরোধীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে শুরু করেছেন নিতিন গডকড়ী, রাজনাথ সিংহের মতো নেতারা। সুষমা স্বরাজ আগেই ভোটে না লড়ার কথা জানিয়েছেন। একমাত্র অরুণ জেটলি ছাড়া মোদীকে আড়াল করছেন না কেউই। এর মধ্যেই বাজপেয়ী জমানার মন্ত্রী বিজেপির প্রবীণ নেতা সঙ্ঘপ্রিয় গৌতম প্রস্তাব দিয়েছেন, গডকড়ীকে উপপ্রধানমন্ত্রী করে দেওয়া হোক। অমিত শাহকে সরিয়ে বিজেপির সভাপতি হন শিবরাজ সিংহ চৌহান। যোগী আদিত্যনাথকে ধর্মকাজে পাঠিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করা হোক রাজনাথ সিংহকে। কারণ, আগের মতো আর মোদী-ঝড় নেই, যে কাজ করবে। ক্ষোভ ছড়িয়েছে নিচু স্তরেও। দিল্লির বুথ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নেতা ধর্মবীর সিংহ অমিত শাহকে চিঠি লিখে রাজ্য নেতাদের বদল করতে বলেছেন। তাঁর অভিযোগ, কাজে নয়, নেতারা শুধু মুখ দেখাতে ব্যস্ত।

এই অসন্তোষ দূর করতে খোদ নরেন্দ্র মোদী এখন থেকেই ভোট প্রচার শুরু করেছেন। ভোট ঘোষণার আগেই একশোটি সভা করবেন। নিয়মিত ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মীদের চাঙ্গা করার মন্ত্র দিচ্ছেন। কিন্তু অসন্তোষ দানা বাধায় এ বারে সব শীর্ষ নেতাকেও ধরিয়ে দিলেন ভোটের কাজ। আজ অমিত শাহ মোট ১৭টি কমিটি গঠন করেছেন। যেখানে মোদী সরকারের শীর্ষ মন্ত্রীদের সামিল করা হয়েছে। তার মধ্যে ভোটের ইস্তাহার তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজনাথ সিংহকে। সেখানে জেটলি, শিবরাজ, নির্মলা সীতারামনরাও রয়েছেন। প্রচার ও প্রসারের ভার দেওয়া হয়েছে জেটলিকে, যেটি ইতিমধ্যেই তিনি করে চলেছেন। সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব গডকড়ী ও সুষমাকে প্রচার পুস্তিকার ভার দেওয়া হয়েছে। বাইক র‌্যালি, এমনকি মোদীর ‘মন কি বাত’ প্রচারের জন্যও কমিটি গড়া হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের বন্ধু হোন, কর্মীদের মোদী

এর মধ্যে এক মাত্র রাজনাথকে ইস্তাহার কমিটিতে ছাড়া আর কাউকে ‘চেয়ারম্যান’ করা হয়নি। গত লোকসভার সময় তিনিই ছিলেন দলের সভাপতি। তাঁর রাজনৈতিক ওজন দেখেই এই বাড়তি গুরুত্ব বলে দলের নেতারা মনে করছেন। চলতি সপ্তাহের শেষেই বিজেপি দিল্লির রামলীলা ময়দানে দলের পরিষদের বৈঠক করতে চলেছে। যেখানে সব রাজ্য থেকে সর্বাধিক সংখ্যায় নেতা-কর্মীদের দিল্লিতে আনা হবে। বিজেপির এক নেতা বললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি চাইছেন, এখন সকলে শুধু ভোট নিয়েই ভাবুন। অন্য কোনও অসন্তোষ যাতে মাথাচাড়া না দিতে পারে।’’ কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির মতে, বিজেপিতে অসন্তোষ যে ভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে, তাতে তো দলের ভিতরের টানাপড়েন স্পষ্ট। দু’দিন আগে লোকসভাতেও লালকৃষ্ণ আডবাণী কিছু বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বিজেপি নেতারাই বলতে দেননি। কংগ্রেসের খোঁচা— বিজেপিতে যে নেতৃত্ব বদলের দাবি উঠছে, সে কথাই কি বলতে চেয়েছিলেন আডবাণী?

আরও পড়ুন: হ্যাল নিয়ে সরব রাহুল, জবাব দিলেন নির্মলাও

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement