Bangladesh Unrest

বাংলাদেশে অশান্তির জের, সীমান্তবর্তী এলাকায় রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করল মণিপুর সরকার

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ব্রিটিশ জমানা থেকেই কুকি জনগোষ্ঠীর বাস। ভারত এবং মায়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের অঞ্চলগুলি নিয়ে কুকি স্বশাসিত অঞ্চলের লড়াই চালাচ্ছে কেএনএফ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ২১:৪৬
Share:

মণিপুর-বাংলাদেশ সীমান্তে কার্ফু জারি। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী দুই জেলায় রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করল মণিপুর সরকার। সে দেশের সাম্প্রতিক অশান্তির জেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, যে দুই জেলায় রাত্রিকালীন কার্ফু জারি হয়েছে, সেই জিরিবাম এবং ফেরজাওলের বাসিন্দাদের বড় অংশ কুকি জনজাতি গোষ্ঠীর।

Advertisement

মণিপুরের গণ্ডি ছাড়িয়ে কুকি-সমস্যার আঁচ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ছড়িয়েছে। সে দেশের সেনাবাহিনী এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) চলতি বছরের এপ্রিল থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কয়েক জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। বান্দারবন জেলায় রুমা এবং থানচিতে ব্যাঙ্ক ডাকাতি ও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে কুকি-চিন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অশান্তির জেরে আবার পার্বত্য চট্টগ্রামে হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে মণিপুর প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে। প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ব্রিটিশ জমানা থেকেই কুকি জনগোষ্ঠীর বাস। ভারত এবং মায়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের অঞ্চলগুলি নিয়ে কুকি স্বশাসিত অঞ্চলের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই লড়াই চালাচ্ছে কেএনএফ। ২০২২ থেকে তাদের সঙ্গে সেনা এবং র‌্যাবের কয়েক দফা সংঘর্ষও হয়েছে। বাংলাদেশের অভিযোগ, সীমান্তের ওপারে মায়ানমারের চিন প্রদেশে ঘাঁটি রয়েছে কেএনএফের। মণিপুরের কিছু কুকি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বসবাসকারী চাকমা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সাম্প্রতিক কালে কুকি বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement