প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা উঠেছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১০৮ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবায় ফোন করেছিলেন আগরার বাধিপুর গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ নিসাদ। অভিযোগ, সেখান থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও অ্যাম্বুল্যান্স নেই। অগত্যা নিজের বাইকে বসিয়েই স্ত্রীকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দেন সুভাষ।
আরও পড়ুন: দিল্লির স্কুলে প্রসব ক্লাস টেনের ছাত্রীর, গ্রেফতার প্রৌঢ় ধর্ষক
কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ২ কিলোনিটার আগেই বাইকের তেল ফুরিয়ে যায়। অসহায়ের মতো ফের অ্যাম্বুল্যান্সে ফেন করেন, কিন্তু এ বারও সাড়া মেলেনি। এ দিকে প্রসব যন্ত্রণা বাড়তে বাড়তে চরম পর্যায়ে পৌঁছয় তাঁর স্ত্রীর। আর সহ্যা করতে না পেরে রাস্তাতেই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। এর পরেও বিড়ম্বনা শেষ হয়নি। স্ত্রী ও সদ্যোজাতকে নিয়ে রাস্তায় সাহায্যের জন্য চিত্কার করতে থাকেন। সুভাষ জানান, কেউ এক পা এগিয়ে আসেনি তাঁদের ওই অবস্থায় দেখেও। তৃতীয় বারের মতো ফের ফোন করেন ১০৮ পরিষেবায়। এ বার এক মহিলা কর্মী ফোন ধরে সুভাষকে নিজের গাড়িতে করেই স্ত্রীকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: ‘র্যাঞ্চো’র ভূমিকায় বিপিন, ট্রেনেই প্রসব করাতে সাহায্য মেডিক্যাল ছাত্রের
অবশেষে একটা গাড়িকে থামিয়ে স্ত্রীকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান সুভাষ। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, মা ও সন্তান দু’জনেই সুস্থ। সুভাষ অভিযোগ করেন, স্ত্রীকে গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় ১০৮ পরিষেবার দুটো অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তিনি। পিনাহাট মেডিক্যাল কলেজের বাইরে পার্ক করা ছিল। যদিও সুভাষের এই অভিযোগকে খারিজ করেছে ১০৮ পরিষেবা।