অমরনাথে উদ্ধার অভিযানে সেনা। ছবি: পিটিআই।
জম্মু ও কাশ্মীরের তীর্থক্ষেত্র অমরনাথে শুক্রবার বিকেলে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয়ের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ১৫ হাজারের বেশি তীর্থযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় বাহিনী ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। উদ্ধারের কাজে আইটিবিপির পাশাপাশি ভারতীয় সেনা, সিআরপিএফ, জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ)-র সদস্যেরা অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এনডিআরএফ-এর ডিজি অতুল করওয়াল।
এরই মধ্যে অমরনাথে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হয়েছে বলে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন জানিয়েছে। এখনও অন্তত ৪০ জন নিখোঁজ বলে উদ্ধারকারী দল সূত্রের খবর। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত উদ্ধারের জন্য এখনও পর্যন্ত ছ’টি দল নামিয়েছে ভারতীয় সেনা। নামানো হয়েছে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার। উদ্ধার করা তীর্থযাত্রীদের প্রাথমিক ভাবে আনা হয়েছে পঞ্চতরণীর বেসক্যাম্পে।
শনিবার ভোর প্রায় পৌনে ৪টে পর্যন্ত আটক তীর্থযাত্রীদের উদ্ধারের কাজ চলে। সকাল থেকে নতুন করে নিখোঁজদের সন্ধান শুরু হয়েছে। এনডিআরএফ-এর তরফে শনিবার অমরনাথের পুণ্যার্থীদের সঙ্গে বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্য দু’টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি স্থানীর প্রশাসনের। অন্যটি অমরনাথ দেবস্থান ট্রাস্টের।
শুক্রবার বিকেলে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে অমরনাথের গুহার উপর থেকে হঠাৎ করেই জল নামতে শুরু করে। তার পরই হুড়মুড়িয়ে জল ঢুকতে শুরু করে এলাকায়। ভেসে যায় তীর্থযাত্রীদের অস্থায়ী আবাসগুলি। ঘটনাটির একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। তাতে দেখা যাচ্ছে প্রবল স্রোতে জল ঢুকছে রাস্তা দিয়ে। দুর্ঘটনার জেরে অমরনাথ যাত্রা স্থগিত করেছে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পরে অমরনাথ যাত্রা শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, কোভিডের জন্য গত দু’বছর বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা। ৩০ জুন থেকে শুরু হয়েছিল যাত্রা। এখন পর্যন্ত ৭২ হাজার পুণ্যার্থী দর্শন করেছেন।