অমর জওয়ান জ্য়োতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী মোদীর। ছবি: সংগৃহীত।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে ৫০ বছর পরে নিভতে চলেছে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেটের অমর জওয়ান জ্যোতির অনির্বাণ শিখা। শুক্রবারই সেই অগ্নিশিখা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নবনির্মীত ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’-এ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ ভারতীয় সেনাদের স্মৃতিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিল অমর জওয়ান জ্যোতি। ১৯৭২ সালের ২৭ জানুয়ারি ইন্দিরা এই স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন করেছিলেন । পাথরের স্তম্ভে উল্টো করে রাখা ৭.৬২ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং তার উপর একটি সেনা শিরস্ত্রাণের স্মারক রয়েছে এখানে। আর তার সামনে সর্বক্ষণ জ্বলতে থাকা আগুনের শিখা। ঠিকানা বদলে এ বার তা চলে যাবে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরত্বের ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’-এ।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইন্ডিয়া গেট চত্বরের ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’-এর উদ্বোধন করেছিলেন। সে সময় অভিযোগ উঠেছিল, পুলওয়ামা সন্ত্রাসের আবহে দেশপ্রেমের জিগির তুলে লোকসভা ভোটে জেতার উদ্দেশ্যেই সরকারের এই পদক্ষেপ। ঘটনাচক্রে, এ বারও উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগেই শহিদ জওয়ানদের স্মৃতিতে প্রজ্জ্বলিত শিখা স্থানান্তর করা হচ্ছে।
স্বাধীনতার পর থেকে যে সেনা-জওয়ানেরা দেশ রক্ষায় জীবন দিয়েছেন তাঁদের স্মৃতিতেই ৪০ একর জমিতে তৈরি হয়েছে এই যুদ্ধ-স্মারক। চারটি সমকেন্দ্রিক বৃত্ত বা চক্রের আকারে বানানো হয়েছে এর দেওয়াল। আকাশ থেকে যা অনেকটা চক্রব্যূহের মতো দেখাবে। চক্র চারটির নাম হল, অমর চক্র, বীরতা চক্র, ত্যাগ চক্র এবং রক্ষক চক্র। চক্রের দেওয়ালগুলিতে লেখা হয়েছে ২৫ হাজার ৯৪২ জন নিহত সেনার নাম।
ভারতের ইতিহাসে যে সব লড়াই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়, সেগুলির মুর্যালও থাকছে দেওয়ালে। সবচেয়ে ছোট চক্রটি অর্থাৎ অমর চক্রের মাঝে রয়েছে স্তম্ভ। শহিদ সেনানীদের স্মৃতিতে অগ্নিশিখা জ্বলছে এখানেও। আর তাতেই এ বার মিশে যাচ্ছে ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’।