দূষণের কোপে দিল্লি। ছবি: এএফপি।
দূষণের কারণে প্রায় শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম দিল্লিবাসীর। যে ভাবে রাজধানীকে ধোঁয়া আর ধুলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে, সেই অবস্থা স্বাভাবিক হতে সময় লেগে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। দিওয়ালির পর থেকেই দূষণের চাদরে ঢাকা পড়ে গিয়েছে রাজধানী। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সেখানকার প্রায় ১৮০০ স্কুল এক দিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। মূলত দূষণের হাত থেকে শিশুদের রেহাই দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
শহরের পলিউশন মনিটরিং এজেন্সির তথ্য বলছে, দিল্লির বাতাসে পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-এর পরিমাণ ১০। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ গুণ বেশি। বাতাসে পিএম-এর পরিমাণ থাকে সাধারণত ২.৫। এজেন্সির তথ্য থেকে আরও জানা গিয়েছে যে, এখনও বাতাসে ঘণ দূষিত পদার্থ ভেসে বেড়াচ্ছে। আর সে কারণেই শ্বাসকষ্টের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। পরিবেশবিদদের মতে, দিল্লির বাতাসের এখন যা অবস্থা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে তাতে সবচেয়ে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শিশুদের।
ধুলো, ধোঁয়া তো আছেই, সেই সঙ্গে রয়েছে কুয়াশাও। সব মিলিয়ে দিল্লির এখন তথৈবচ অবস্থা। সমীক্ষা বলছে, গত কয়েক বছরে দিল্লিতে দূষণের মাত্রা হু হু করে বেড়েছে।
কারণ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত হারে নগরায়ন, কয়লাচালিত তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র এবং কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়া। শুধু তাই নয়, এটা ফসল পোড়ানোও একটা কারণও হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এ বারের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হয় দিওয়ালির পর দিন থেকেই। দূষণ রুখতে শুক্রবারই রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রক বৈঠকে বসে।
গত সোমবার ইউনিসেফ-এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ৫ বছরের নীচে শিশুরা যতটা না এইচআইভি, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তার থেকে অনেক বেশি মারা যায় ঘর এবং বাইরের দূষণের কারণে।
আরও খবর...