প্রতীকী ছবি।
মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড সীমানায় গোলমাল চলার মধ্যেই এ বার অরুণাচল-অসম সীমানাতেও তিনটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে দখলদারির অভিযোগ উঠল অরুণাচলের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। এমনকি লখিমপুর জেলার হারমতিতে রঙা সংরক্ষিত অরণ্যে অরুণাচলের বাসিন্দাদের চা বাগান গত বছর উচ্ছেদ করার পরে ফের তারা চা বাগান তৈরি করে ফেলেছে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, অরুণাচল সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অসমের জমিতে বসতি, স্কুল, গির্জাও তৈরি করা হয়েছে। কাকৈ বনাঞ্চল, রঙা বনাঞ্চল ও দুলুং বনাঞ্চল মিলিয়ে দু’হাজার হেক্টরের উপরে জমি দখল করেছেন অরুণাচলিরা। সেখানে অসম পুলিশের সীমানা চৌকি নেই। উল্টে অরুণাচলের বাসিন্দারা অসমের জমিতেই সীমা নির্ধারণ করে অসমিয়াদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
এ দিকে অসম ও নাগাল্যান্ডের সীমানা বিবাদ মেটাতে দুই মুখ্যসচিব চুক্তি সই করে মরিয়নি ও মককচং সীমানায় থাকা দিসৈ বনাঞ্চল থেকে পুলিশ সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু মরিয়নির চা জনজাতি ছাত্র সংগঠন, আদিবাসী ছাত্র সংগঠন, তাই আহোম ছাত্র সংগঠন-সহ ৬টি সংগঠনের মিলিত মঞ্চ অভিযোগ তুলেছে, অসম সরকার পুলিশ সরিয়ে নিলেও নাগারা অসমের জমি ছেড়ে এক পাও সরেনি। দিসৈ উপত্যকার পাহাড়ে বন ধ্বংস করে নাগারা যে গ্রাম বানিয়েছে, খামার তৈরি করেছে- সে সবই দিব্যি বহাল আছে। যৌথ মঞ্চের দাবি, নাগাদের কথায় বিশ্বাস রেখে চুক্তি করা অসম সরকারের ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্ত। নাগারা অসমের জমি না ছাড়লে স্থানীয় অসমিয়ারা আন্দোলনে নামবেন।
মরিয়নির বাসিন্দা তথা শিবসাগরের বিধায়ক অখিল গগৈ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার সমালোচনা করে বলেন, “নিজেকে উত্তর-পূর্বের শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী প্রমাণ করতে ব্যস্ত হিমন্ত সীমানা নীতির প্রশ্নে অন্য কোনও রাজ্যকে পাশে পাচ্ছেন না। হিমন্তর ভুল নীতির ফলে অসমের মানুষের প্রাণও গেল, জমিও গেল।” চলতি বিধানসভা অধিবেশনে রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সাল থেকে বিতর্কিত জমি জবরদখলের ২০৯টি ঘটনা ঘটেছে। অসমের মোট ৮৩৯৫ হেক্টর জমি জবরদখল করে রেখেছে অরুণাচল। নাগাল্যান্ডের কবলে রয়েছে ৫৫৩৯৬ হেক্টর জমি। মেঘালয়ের দখলে ৩৮৮১.৮৬ হেক্টর জমি। ১৭৭৭ হেক্টর জমি দখলে রেখেছে মিজোরাম।