পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে খুনের অভিযোগ তেলঙ্গানায়। — প্রতীকী চিত্র।
তেলঙ্গানা পুলিশের এক মহিলা কনস্টেবলকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ তাঁর দাদার বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদ সংলগ্ন রঙ্গা রেড্ডি জেলায়। ঘটনাচক্রে দু’সপ্তাহ আগেই ভিন্জাতের এক তরুণকে বিয়ে করেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ওই বিয়েতে মত ছিল না মহিলা পুলিশকর্মীর পরিবারে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, পরিবারের ‘সম্মান রক্ষা’র অজুহাতে ওই মহিলা পুলিশকর্মীকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত মহিলা কনস্টেবলকে খুনের অভিযোগে তাঁর দাদার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সম্পত্তির ভাগবাঁটোয়ারাকে কেন্দ্র করে কোনও বিবাদ ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই কনস্টেবল রঙ্গ রেড্ডি জেলার হায়াথনগর থানায় কর্মরত ছিলেন। সোমবার সকালে স্কুটারে চেপে রাইপোল থেকে মান্নেগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর দাদা একটি গাড়ি নিয়ে পিছন থেকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা মারেন তাঁর স্কুটারে। তিনি রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পরে অভিযুক্ত একটি দা দিয়ে তাঁর উপর হামলা চালান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলা পুলিশকর্মীর। বোনকে কুপিয়ে খুনের পর অভিযুক্ত দাদা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং ওই মহিলা কনস্টেবলের দেহ উদ্ধার করে। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে মহিলা কনস্টেবলের বিয়েতে আপত্তি ছিল তাঁর ভাইয়ের। সেই কারণে পরিবারের ‘সম্মান রক্ষা’র অজুহাতে তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
ওই মহিলা তেলঙ্গানা পুলিশের ২০২০ সালের ব্যাচের কনস্টেবল ছিলেন। সূত্রের খবর, পরিবারের অমতে ভিন্জাতের তরুণকে বিয়ে করাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে চাপা উত্তেজনা ছিল। তবে কী কারণে খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত দাদার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ এবং তাঁর খোঁজ শুরু করেছে।