গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন বিধায়ক রামেশ্বর সিংহ যাদবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় পুলিশের কাছে হলফনামা চাইল আদালত। এই ধর্ষণের অভিযোগ পুরোটাই সাজানো বলে দাবি করেছেন মামলাকারী। কারণ, যে সময়ে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে, সে সময়ে রামেশ্বর লখনউয়ে বিধানসভার অধিবেশনে ছিলেন। বিধানসভার নথি তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কী ভাবে তা সত্ত্বেও রামেশ্বরকে ধর্ষণে অভিযুক্ত করে চার্জশিট গঠন করল পুলিশ, জানতে চেয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। মামলার আগামী শুনানির দিন পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিককে এ বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে।
মূল ঘটনাটি ২০১৬ সালের। উত্তরপ্রদেশের এটা জেলায় একটি ধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়ায় রামেশ্বরের। সে সময়ে তিনি সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক ছিলেন। সম্প্রতি সেই মামলার শুনানি ছিল ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ বর্মা এবং বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রের বেঞ্চে। হাই কোর্টে মামলা করেছেন ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত প্রমোদ যাদব। তিনি জানান, রামেশ্বর এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে পুরনো শত্রুতার জেরে এই ধর্ষণের ঘটনা সাজানো হয়েছে। তার পরেই ঘটনার সময়ে রামেশ্বরের বিধানসভায় উপস্থিত থাকার তথ্য তুলে ধরা হয় বিচারপতিদের সামনে। মামলাকারী আরও জানান, সাজানো হওয়ার কারণেই মূল ঘটনার প্রায় সাত বছর পর রামেশ্বরের বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করা হয়েছে।
ঘটনার দিন অভিযুক্তের বিধানসভায় উপস্থিত থাকার তথ্যে কৌতূহল তৈরি হয়। যেখানে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি লখনউ থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে। অপরাধের সময় হিসাবে সকাল সাড়ে ৯টা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবীর যুক্তি, সকালে অপরাধ করে ৩৭০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বিধানসভার অধিবেশনে সে দিনই যোগ দেওয়া বিধায়কের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে আদৌ যে তিনি ওই দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না, তা স্পষ্ট।
আগামী ১৪ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তদন্তকারী আধিকারিককে ওই দিন আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কী ভাবে তিনি চার্জশিটে রামেশ্বরের নাম রাখলেন। বিধানসভায় উপস্থিত থাকার পরেও কী ভাবে তিনি ধর্ষণে অভিযুক্ত হলেন, কোন পদ্ধতিতে পুলিশ তদন্ত করেছে, জানতে চেয়েছে আদালত।