Gyanvapi Masjid-Kashi Vishwanath Temple

‘জ্ঞানবাপীতে চলবে পূজা, আরতি’, মুসলিম পক্ষের স্থগিতাদেশের আর্জি নাকচ করল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট

মুসলিম পক্ষের আবেদনে বলা হয়, বারাণসী আদালতের নির্দেশ ১৯৯১-এর ‘ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন বা ‘প্লেসেস অব ওরশিপ (স্পেশাল প্রভিশন) অ্যাক্ট’-এর পরিপন্থী। মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৫১
Share:

জ্ঞানবাপীর তহখানায় আরতি ও পূজাপাঠ চলবে বলে জানিয়ে দিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

জ্ঞানবাপীর তহখানায় আরতি ও পূজাপাঠ চলবে বলে জানিয়ে দিল ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’-র তরফে এ বিষয়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে যে আবেদন জানানো হয়েছিল হাই কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।

Advertisement

মসজিদ চত্বরের দক্ষিণ অংশের ‘ব্যাস কা তহখানা’-য় আরতি এবং পুজোয় আপত্তি জানিয়ে মসজিদ কমিটির তরফে হাই কোর্টকে বলা হয়েছিল, ১৯৩৭ সালে জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত বিবাদের রায় মুসলিমদের পক্ষেই গিয়েছিল, তাই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-কে দিয়ে নতুন করে সমীক্ষা করানো এবং তার উপর ভিত্তি করে আরতি-পূজাপাঠের নির্দেশ দেওয়া যায় না। ২০২২ সালে বারাণসী আদালতের নির্দেশে করা ‘অ্যাডভোকেট কমিশনার’-এর রিপোর্টকেও বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মুসলিম পক্ষের দাবি ছিল।

সেই সঙ্গে আবেদনে বলা হয়েছিল, বারাণসী আদালতের নির্দেশ ১৯৯১-এর ‘ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন বা ‘প্লেসেস অব ওরশিপ (স্পেশাল প্রভিশন) অ্যাক্ট’-এর পরিপন্থী। আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি শুক্রবার সকাল থেকে জ্ঞানবাপীর তহখানায় আরতি ও পূজাপাঠের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ শুরু করে মুসলিমপক্ষ। মসজিদ কমিটির তরফে শুক্রবার এলাকার সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীদের দোকান এবং অন্যান্য ব্যবসাক্ষেত্র বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। অশান্তির সম্ভাবনা এড়াতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী। তারই মধ্যে আদালতের নির্দেশ মেনে প্রশাসনিক আধিকারিকদের পর্যবেক্ষণে ব্যাস কা তহখানা’-য় আরতি এবং পুজো করা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement