Allahabad High Court

‘স্বামী বেকার হলেও বিচ্ছিন্ন স্ত্রীর খরচ জোগাতে হবে, এটাই কর্তব্য’, পর্যবেক্ষণ আদালতের

আদালতের পর্যবেক্ষণ, এক জন অদক্ষ শ্রমিক হিসাবে কাজ করেও যুবক দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার করার ক্ষমতা রাখেন। সেই কারণেই স্ত্রীর ভরণপোষণের বন্দোবস্ত তাঁকে করতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৩৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্বামী বেকার, কোনও রোজগার নেই তাঁর। তা সত্ত্বেও বিবাহবিচ্ছেদের পর স্ত্রীর খরচ তাঁকে জোগাতেই হবে। একটি মামলায় এমনটাই পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাই কোর্টের। যে করেই হোক, স্ত্রীর ভরণপোষণের খরচ জোগাড় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই যুবককে। কারণ, বিচ্ছেদের পর স্ত্রীর খরচ বহন করা প্রত্যেক স্বামীর কর্তব্য, মনে করে আদালত।

Advertisement

বিচ্ছেদের পর স্ত্রীর খরচ বহন করতে পারবেন না বলে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন যুবক। পারিবারিক আদালতে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আইন অনুযায়ী স্ত্রীর ভরণপোষণ বাবদ নির্দিষ্ট মাসিক খরচ দিতে বলা হয় তাঁকে। পারিবারিক আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যুবক এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি রেণু আগরওয়ালের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিবাহবিচ্ছেদের পর স্ত্রীর ভরণপোষণের খরচ জোগানো স্বামীর কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তিনি সেই কর্তব্য কোনও অজুহাতেই এড়িয়ে যেতে পারেন না। স্বামী বেকার হলেও স্ত্রীর খরচ জোগানোর জন্যই তাঁকে রোজগার করতে হবে।

রোজগারের জন্য যুবককে পরামর্শও দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জানিয়েছেন, এক জন অদক্ষ শ্রমিক হিসাবে কাজ করেও যুবক দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা রোজগার করার ক্ষমতা রাখেন। সেই কারণেই স্ত্রীর ভরণপোষণের বন্দোবস্ত তাঁকে করতে হবে। স্ত্রীকে মাসে দু’হাজার টাকা করে দিতে হবে যুবককে, নির্দেশ আদালতের।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ২০১৫ সালে। তার পরের বছরেই ঘর ছেড়ে চলে যান মহিলা। স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে তিনি এফআইআর করেছিলেন। অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে পণের টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা। চলত শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন।

স্বামীর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর মহিলা শিক্ষিকা হিসাবে একটি স্কুলে যোগ দেন। সেখান থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা রোজগার করছেন তিনি। এই যুক্তি দেখিয়েই যুবক স্ত্রীর ভরণপোষণ জোগাতে পারবেন না বলে আদালতে যান। যুবক জানান, তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ, চিকিৎসা চলছে। তাঁর নিজের বাবা-মায়ের দায়িত্বও তাঁরই কাঁধে। ভাড়াবাড়ির খরচও তাঁকেই জোগাড় করতে হয় বলে জানান যুবক। কিন্তু আদালত তাঁর আবেদন গ্রাহ্য করেনি। স্ত্রীর মাসিক রোজগারের কোনও প্রামাণ্য নথিও আদালতে দেখাতে পারেননি ওই যুবক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement