Live In Couple

বিয়ে না করে একত্রবাস মুসলমানের জন্য ‘হারাম’, ভিন্নধর্মী সঙ্গীকে সুরক্ষা দিতে ‘অপারগ’ আদালত

যুবক মুসলমান। তরুণী হিন্দু ধর্মের। আদালতে তাঁরা দাবি করেন দীর্ঘ দিন প্রণয়ের সম্পর্কের পর একত্রবাসের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাঁদের ধর্ম ভিন্ন বলে নানা বাধা আসছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ইলাহাবাদ শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ ১৭:০২
Share:

ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

দুই ভিন্নধর্মী যুগল একত্রবাসে ছিলেন। কিন্তু পারিবারিক এবং সামাজিক বাধা আসে। এমনকি, তরুণীর পরিবারের তরফে যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সুরক্ষা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দু’জন। কিন্তু এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চাইল না ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্ট লিভ-ইন সম্পর্ককে উৎসাহ দেয় না।

Advertisement

যুবক মুসলমান। তরুণী হিন্দু ধর্মের। আদালতে তাঁরা দাবি করেন দীর্ঘ দিন প্রণয়ের সম্পর্কের পর একত্রবাসের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাঁদের ধর্ম ভিন্ন বলে নানা বাধা আসছে। এ নিয়ে আদালতের কোনও নির্দেশ এবং সুরক্ষা চেয়ে আবেদন করেন তাঁরা। মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি সঙ্গীতা চন্দ্র এবং বিচারপতি নরেন্দ্রকুমার জোহারির ডিভিশন বেঞ্চে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, দেশের আইন সব সময় বিয়ের পক্ষে। সুপ্রিম কোর্টও লিভ-ইন সম্পর্ককে উৎসাহ প্রদান করে না। লিভ-ইন সম্পর্ককে ‘সুরক্ষিত’ রাখার কোনও নির্দেশও শীর্ষ আদালতের তরফে পাওয়া যায়নি। তাই সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতের কিছু করণীয় নেই।

হাই কোর্ট জানতে পারে ওই যুগলের সম্পর্কে মেয়েটির পরিবারের মত নেই। তাঁর মা যুবকের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছেন। অন্য দিকে, যুগলের দাবি, তাঁরা দু’জনে প্রাপ্তবয়স্ক। এক জনের বয়স ৩০ এবং অন্য জনের বয়স ২৯ বছর। একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত তাঁদের নিজেদের। কিন্তু তার পরও পুলিশ তাঁদের হেনস্থা করছে। আদালত দুই পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শোনার পর মন্তব্য করে, মামলাকারীরা দাবি করেননি যে তাঁরা বিবাহিত। তাঁরা বৈবাহিক সম্পর্ক সুরক্ষিত রাখার আবেদন করেননি। তাঁরা দাবি করছেন যে, প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে নিজেদের পছন্দমতো মানুষের সঙ্গে থাকার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশ নেই। এর পর আদালতের মন্তব্য, ‘‘তাছাড়া মুসলমান ধর্মে বিয়ের আগে যৌনতা, চুম্বন, শারীরিক স্পর্শ নিষিদ্ধ। বিয়ের আগে এগুলো করা মুসলমান ধর্মে ‘হারাম’ (নিষিদ্ধ)। কোরানে এ বিষয়ে উল্লেখ আছে।’’

Advertisement

শেষে হাই কোর্ট বলে চাইলে এ নিয়ে পাল্টা এফআইআর করতে পারেন মামলাকারী যুগল। এ নিয়ে রিট পিটিশন গ্রহণযোগ্য নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement