সব দাবিদাওয়া নিয়ে আগামী ২৩ মার্চ দিল্লিতে সংসদ ভবন ঘেরাও করার হুমকিও দিয়েছেন রেশন ডিলাররা। ছবি: সংগৃহীত।
ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ দিন দেশের সব রেশন দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন। রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যেরা। ফেব্রুয়ারি মাসের ৭,৮ ও ৯ তারিখে এই দেশের সব রেশন দোকানগুলি বন্ধ রাখা হবে। এই সিদ্ধান্তের কথা কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্য মন্ত্রক ও রাজ্য খাদ্য দফতরগুলিকে জানিয়েও দিয়েছে রেশন ডিলারদের এই সংগঠনটি। ধর্মঘটের পথে হেঁটে তাঁরা নিজেদের দাবি আদায় করতে পারবেন বলেই মনে করছেন সংগঠনের সদস্যরা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটের দিকে অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন রেশন ডিলাররা। তাঁরা আশা করেছিলেন, ২০২৩-এর জানুয়ারি মাসে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অন্তর্গত প্রকল্পটি দেশের গরিব মানুষের জন্য ফের চালু করবে কেন্দ্র। কিন্তু তেমনটা করা হয়নি। এই ঘটনায় আশাহত হয়েছেন তাঁরা। সঙ্গে তাঁরা দাবি করেছেন, ভোজ্য তেল, ডাল, চিনির মতো অত্যাবশ্যক পণ্যগুলি রেশন দোকান থেকে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করার সুযোগ দিতে হবে।
সঙ্গে আরও ১১টি দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। যেখানে রেশন ডিলারদের মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় সুনিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও রেশন ডিলারদের যাবতীয় পাওনা দ্রুত মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, খাদ্যশস্য দেওয়ার ক্ষেত্রে চটের ব্যাগকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে। করোনা সংক্রমণে প্রয়াত রেশন ডিলারদের পরিবারকে রাজস্থান সরকার ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। সে কথাও কেন্দ্রীয় সরকারকে স্মরণে রাখতে বলেছেন রেশন ডিলাররা। রেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘হ্যান্ডলিং লস’-এর পরিমাণ কুইন্টাল পিছু এক কেজি করে করা হয়েছে। এই সব দাবিদাওয়া নিয়ে আগামী ২৩ মার্চ দিল্লিতে সংসদ ভবন ঘেরাও করার হুমকিও দিয়েছেন রেশন ডিলাররা।
নিজেদের দাবিদাওয়া প্রসঙ্গে সংগঠনের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘‘আমরা আমাদের দাবিদাওয়ার কথা স্পষ্ট করে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে দিয়েছি। তাই এ বার পালা কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার। রেশন ডিলাররা অনেক দিন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েও মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন। কিন্তু এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে আমাদের কথাও ভেবে দেখা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা জানি, আমাদের ধর্মঘটের ফলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। কিন্তু তাঁরা যেন বোঝেন যে, তাঁদের সুবিধা আদায়ের জন্যই আমরা লড়াই করছি।’’