নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি বিরোধিতার লড়াইকে এ বার উত্তরপ্রদেশের বাইরেও ছড়িয়ে দিতে চাইছেন সমাজবাদী পার্টি (এসপি) নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদব। সূত্রের খবর, এই লক্ষ্যেই মধ্যপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা ভোটে লড়বে এসপি।
আগামিকাল থেকে দু’দিনের মধ্যপ্রদেশ সফর শুরু করছেন অখিলেশ। দলীয় সূত্রের খবর, কাল আদিবাসী অধ্যুষিত সিধি জেলায় জনসভা করবেন তিনি। সেখানে এসপি থেকে এক সময় বিজেপিতে চলে যাওয়া প্রাক্তন বিধায়ক তথা অর্জুন সিংহের দূরসম্পর্কের আত্মীয় কে কে সিংহের ‘ঘর ওয়াপসি’ হবে। শনিবার অখিলেশ যাবেন দক্ষিণ-পূর্ব মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুর জেলায়। সেখানে জনসভা এবং স্থানীয় নেতা এবং মানুষের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। পরবর্তী সময়ে আবার ইনদওরে যাওয়ার কথা অখিলেশের।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিএসপি নেত্রী মায়াবতী যখন জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব বাড়াতে সক্রিয়, ঠিক তখন অখিলেশের দলও একই ভাবে, একই কাজ করছে। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, কর্নাটকে মায়াবতী জে ডি (এস)-এর সঙ্গে হাত মেলানোয় কংগ্রেস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং আখেরে লাভ তুলেছে বিজেপি। একই ভাবে অখিলেশ মধ্যপ্রদেশে লড়াই করলে কংগ্রেস ভোট ব্যাঙ্কেই চিড় ধরার সম্ভাবনা থাকছে।
এসপি-র এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘আমরা সবে মধ্যপ্রদেশের আসন চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছি। কোন আসনে এসপি-র সাংগঠনিক ভিত ভাল, সেগুলি বিচার করে তবেই প্রার্থী দেওয়া হবে। অবশ্যই কংগ্রেস যে আসনে শক্তিশালী, সেখানে আমরা প্রার্থী দেব না। কেন না মোদী সরকারকে হঠানোটাই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।’’ মায়াবতীর বিএসপি-ও মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চলেছে বলে খবর। যার জেরে প্রশ্ন উঠছে, মধ্যপ্রদেশে কি তা হলে বিজেপি বিরোধী কোনও মহাজোট হতে পারে?
এসপি সূত্রের বক্তব্য, এখনই কোনও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সবে প্রস্তুতি শুরু হযেছে। অখিলেশ ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, ‘‘সমমনস্ক দলের নেতাদের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলা হবে, যাতে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে শুধু মধ্যপ্রদেশ নয়, গোটা দেশ থেকেই উৎখাত করা যায়।’’ জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ সফর শেষ করার পরেই উত্তরপ্রদেশের আসন্ন দুই উপনির্বাচনের (কাইরানা এবং নূরপুর) জন্য প্রস্তুতি শুরু করবেন অখিলেশ। মায়াবতীর সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন ২০১৯-এর আসন সমঝোতার মডেল নিয়ে। জানা গিয়েছে, দুই নেতার মধ্যে কথা হবে আসন্ন মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় বিধানসভার ভোট নিয়েও।