অখিলেশ যাদব। —ফাইল চিত্র।
মত বদল বা ঢোক গেলার রাস্তায় না হেঁটে সোজা ব্যাটে খেললেন অখিলেশ যাদব। মহম্মদ আলি জিন্নাকে নিয়ে তাঁর মন্তব্য সম্প্রতি রাজনীতির মহলে যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, তা নিয়ে শনিবার অখিলেশ সোজাসাপ্টা জবাবে বলেন, ‘‘বইপত্রগুলো আর এক বার পড়ে দেখতে বলছি।’’
বিতর্কের সূত্রপাত, ৩১ অক্টোবর, বল্লভভাই পটেলের জন্মদিনে। উত্তরপ্রদেশের হরদোইতে প্রচারে গিয়ে সেদিন অখিলেশ পটেলের অবদানের কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘পটেল, গাঁধী, নেহরু, জিন্না সকলে একই প্রতিষ্ঠান থেকে আইন পাশ করেছিলেন। আইনজীবী হয়ে তাঁরা দেশের জন্য লড়েছিলেন। লড়াই থেকে কখনও পিছু হটেননি।’’ কেন পটেল-গাঁধীর সঙ্গে এক বন্ধনীতে জিন্নার নাম নেওয়া হল, সেই জিগির তুলে আসরে নামে বিজেপি, গলা মেলান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি-ও। অখিলেশের মধ্যে ‘তালিবানি মনোভাব’ রয়েছে বলেও মন্তব্য করা হয়।
আজ লখনউয়ে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অখিলেশ বিচলিত না হয়েই জবাব দেন, ‘‘আমাকে কেন এর ব্যাখ্যা দিতে হবে? আমি বরং বলব, বইপত্রগুলো আর এক বার পড়ে দেখুন।’’ তাঁর এই মন্তব্যে আরও একবার সরব বিজেপি। উত্তরপ্রদেশ বিজেপি সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিংহ হিন্দিতে টুইট করেছেন, ‘‘জিন্নার প্রতি ভালবাসা অটুট রয়েছে দেখা যাচ্ছে। অখিলেশজি, প্লিজ় বলুন কোন ইতিহাস বই পড়ব? ভারতের না পাকিস্তানের?’’
সমাজবাদী পার্টির প্রতি সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তুলে আসা বিজেপি আজ ফের অখিলেশকে মনে করিয়ে দিয়েছে, দেশ ‘জিন্নাকে’ ভিলেন হিসাবেই দেখে। সুতরাং তাঁর কথাবার্তা ভোটে তাঁর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এর আগে বিজেপি নেতৃত্বের অনেকেও অবশ্য জিন্নার প্রশংসা করেছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রয়াত যশোবন্ত সিংহকে জিন্না সম্পর্কে লেখার জন্যই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। জিন্নাকে নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণীও।