নরেন্দ্র মোদীর ঘুম ছোটাতে জোট ঘোষণা করছেন মায়াবতী-অখিলেশ। পাশে সতীশ মিশ্রের সঙ্গে বসে উসকো-খুসকো চুলের এক যুবক।
পটনা থেকে লখনউ গিয়ে মায়ার সঙ্গে দেখা করছেন তেজস্বী যাদব। একই ফ্রেমে বন্দি হাসিমুখের সেই যুবকটি। জন্মদিনে মায়াকে শাল পরিয়ে দিচ্ছেন অখিলেশ যাদব, বহুজন সুপ্রিমোর পাশে আবার তিনিই।
অঙ্ক কষেই পা ফেলেন বহেনজি। তাঁর সাম্প্রতিক গতিবিধির উপরে ‘গুরু-চেলা’ মোদী-অমিত শাহ থেকে শুরু করে সব দলের নেতারই কড়া নজর। সেখানে যে তরুণকে ছায়াসঙ্গী করে ঘুরছেন বসপা নেত্রী, তিনি কে? তিনি মায়াবতীর ছোট ভাই আনন্দের ছেলে আকাশ। ২৪ বছরের এই যুবক দিল্লিতে পড়াশোনার পর লন্ডন থেকে এমবিএ করে বছর চারেক আগে দেশে ফিরেছেন। আপাতত বাবার ব্যবসা সামলান। বছর তিনেক আগেই তাঁকে মায়ার নির্বাচনী সভায় দেখা গিয়েছিল। তবে এ বারে দেখা যাচ্ছে ঘন ঘন।
সংবাদমাধ্যম আর রাজনৈতিক মহলেও চর্চা উঠেছে, তা হলে কি ধীরে ধীরে নিজের উত্তরসূরি তৈরি করছেন বহেনজি? বঙ্গে যেমন এক ‘ভাইপো’ ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত, উত্তরপ্রদেশেও কি উদয় হচ্ছে আর এক ভাইপোর?
আজ এ নিয়ে সামনে এলেন খোদ মায়াবতী। মূলত আকাশ আনন্দকে নিয়েই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে। কারণ, এক সময়ে আকাশের বাবা আনন্দকেও দলে উপ-সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু বহুজন সমাজ পার্টিতে পরিবারতন্ত্রের স্থান নেই বলে নিজেই অনেক বার বলেছেন মায়া। বিতর্কের পর আনন্দকে পদ থেকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য হলেও নিজের পাশেই রাখতেন।
এ বারে কী করলেন বহেনজি? আকাশকে নিয়ে রটনার দায় তিনি সংবাদমাধ্যম ও বিজেপির ঘাড়ে ঠেললেন। পর ক্ষণে জানালেন, আকাশকে তিনি সঙ্গেই রাখবেন, তাঁকে শেখার সুযোগ করে দেবেন।