আন্দোলনে অনড় কৃষকরা। ছবি-পিটিআই।
নয়া কৃষি আইন নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা আগেই বলেছিল কেন্দ্র। আদালতের মাধ্যমে ফয়সালার বিরোধিতা করে আন্দোলনকারী কৃষকরা ফের একবার জানিয়ে দিলেন যে, আন্দোলন থামানোর বা অচলাবস্থা কাটানোর একমাত্র পথ আইন প্রত্যাহারই। এ ব্যাপারে অন্য কোনও সমাধানসূত্র তাঁরা মানবেন না। কৃষক আন্দোলন নিয়ে আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে। এই অবস্থায় ফের একবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি। বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের মিলিত মঞ্চ অল ইন্ডিয়া কিসান সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটি (এআইকেএসসিসি) এক বিবৃতি জানিয়েছে, ‘‘কৃষক আইন বিরোধী রাজনৈতিক অচলাবস্থায় শীর্ষ আদালতের ভূমিকা নেই। থাকতে পারে না।’’ শুধু তাই নয়, কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে দিল্লির অন্যান্য সীমানাগুলি বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা।
কৃষি আইন সংক্রান্ত বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তিযোগ্য নয় বলেও মনে করে এআইকেএসসিসি। তাদের মতে, রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধানে সু্প্রিম কোর্টের কোনও ভূমিকা নেই। বিষয়টি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদেরই সমাধান করা উচিত। এ নিয়ে এআইকেএসসিসি-র সদস্য অভীক সাহা বলেছেন, ‘‘কৃযক আইন নিয়ে সাংবিধানিক যে বিষয়টি উঠে এসেছে সুপ্রিম কোর্ট তাতে নজর দিতে পারে। কিন্তু নীতির বিষয়টি থেকে সুপ্রিম কোর্টের সরে থাকা উচিত।’’
দিল্লির বিভিন্ন সীমান্ত আটকে কৃষকদের বিক্ষোভের বিষয়টি গত মাসে উঠেছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। তখন শীর্ষ আদালত বলেছিল শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে কৃষকদের। এই সংক্রান্ত আরও বেশ কয়েকটি মামলাও উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টে। ইতিমধ্যেই কৃষক আইন সংক্রান্ত আন্দোলন মেটাতে ৮ বার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্র। কিন্তু কৃষকদের দাবি, আইন প্রত্যাহার করতেই হবে। যদিও তা মানতে নারাজ কেন্দ্র। আগামী ১৫ জানুয়ারি কেন্দ্রের সঙ্গে পরবর্তী বৈঠক রয়েছে কৃষকদের। তার আগে সোমবারে সুপ্রিম কোর্টে শুনানিকে গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র এবং আন্দোলনকারী দু’পক্ষই।
আরও পড়ুন: কৃষক-রোষে চুরমার মহাপঞ্চায়েতের মঞ্চ, ক্ষোভে কোণঠাসা খট্টর