কাছাড়ে বেশিরভাগ রাস্তায় বিটুমিনের চিহ্ন নেই। অনেক জায়গায় পাথরের টুকরোও উধাও। সেগুলিকে রাস্তার ‘মৃতদেহ’ বলে চিহ্নিত করল বিজেপি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ দু’টি প্রতীকী শব নিয়ে শিলচর শহরে মিছিল করল গেরুয়া বাহিনী। পরে রাস্তায় ‘মৃতদেহ’ তুলে দেওয়া হয় পূর্ত বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের হাতে। ৭ দিনের মধ্যে মেরামতি শুরু করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিজেপি।
এ দিন ইটখলায় দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলে খোল-করতাল বাজিয়ে কীর্তনও করা হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ধরে রাঙ্গিরখাড়ি হয়ে মিছিল পূর্ত দফতরের সামনে জমায়েত হয়। জেলা বিজেপি সভাপতি কৌশিক রাই, অবধেশ সিংহ, কণাদ পুরকায়স্থ, বাসুদেব শর্মা, মহীতোষ মণ্ডলরা এগজিকিউটিউ ইঞ্জিনিয়ার এ কে চন্দকে অফিসের বাইরে নিয়ে আসেন। সরকারি নির্দেশ ছাড়া বেরতে পারবেন না বলেও লাভ হয়নি। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ঠায় দাঁড়িয়ে নেতাদের বক্তব্য শুনতে হয় চন্দবাবুকে। পরে শবদেহের ‘প্রাপ্তিস্বীকার’ করে তিনি রেহাই পান।
শিলচরের বিজেপি বিধায়ক দিলীপকুমার পাল জানিয়ে দেন, মেরামতির কাজ শুরু করতে সাত দিন সময় দেওয়া হল। হুঁশিয়ারি দেন প্রাক্তন বিধায়ক পরিমল শুক্লবৈদ্যও।
বিজেপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ রায় পেশায় অস্থিরোগের চিকিৎসক। তিনি জানান, বেহাল রাস্তার জন্য নিয়মিত ব্যথা-বেদনা নিয়ে তাঁর কাছে রোগীদের ভিড় জমছে। শহরে বাড়ছে কোমরের যন্ত্রণা। কৌশিকবাবুর অভিযোগ, রাজ্যের মন্ত্রী, চিফ ইঞ্জিনিয়ার থেকে শিলচর পূর্ত দফতর পর্যন্ত জায়গায় জায়গায় ‘কমিশন’ দিতে হয়। তাই রাস্তার এই হাল। এ দিন মিছিলে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ।