বিপ্লব দেব। —ফাইল চিত্র।
সপ্তম বেতন কমিশনে ত্রিপুরায় সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.২৫-র জায়গায় নির্ধারিত হয়েছে ২.৫৭। তার বিনিময়ে জোটেনি মহার্ঘ ভাতা। নিয়মিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন ত্রিপুরার বিশাল অংশের শিক্ষক-কর্মচারীরা। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে ত্রিপুরা সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন এই বিষয়গুলি তুলে ধরে বিপ্লবকুমার দেব সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে। ফেডারেশনের মহাসচিব সমর রায়ের কথায়, “ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই শিক্ষক- কর্মচারীরা অবহেলিত হচ্ছেন। গত ৩১ মাসে কোন মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়নি। ক্ষোভ যে ভাবে বাড়ছে, তাতে যে কোনও সময় তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে। তখন সরকারের সামনে গভীর সঙ্কট নেমে আসবে।”
সমরবাবু ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, “অধিকাংশ অধিগৃহীত সংস্থায় সপ্তম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের ধাঁচে বেতন-ভাতার পরিবর্তন হয়নি। শিক্ষক-কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা পরিবর্তন করা হয়নি। বদলি নীতি না-মেনে যেমন খুশি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নামগোত্রহীন নেতারাই আজ বদলির তালিকা তৈরি করছেন। তাঁর দাবি, শিক্ষা দফতরের সাম্প্রতিক বদলির তালিকায় গুরুতর অসুস্থ, অবসরের দোরগোড়ায় রয়েছেন, এমনকি অবসর নেওয়া বা চাকরিচ্যুত শিক্ষকদেরও নাম রয়েছে। রাজ্যের বিশাল অংশের অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করেনি ত্রিপুরা সরকার। বন্ধ হয়নি স্থির বেতনে নিয়োগও।