ফের অশান্ত মণিপুর। হাইকোর্ট ও কেন্দ্রের নির্দেশে রাজ্য সরকার অবরোধ হঠিয়ে আটকে থাকা ট্রাক-ট্যাঙ্কারগুলি ইম্ফলে আনার চেষ্টায় ছিল। নবগঠিত সেনাপতি-কাংপোকপির জেলাশাসকের দফতরে কাজকর্ম শুরু করার পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু রুখে দাঁড়ায় নাগা সংগঠনগুলি।
ইউএনসির অবরোধ চলছিলই। সেনাপতি জেলার মিনি সচিবালয়ের সামনে ধর্না দিয়ে দফতর খুলতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিশ গুলি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। সেনাপতিতে তিন মহিলা-সহ কয়েক জন ও কাংপোকপিতে ছ’জন জখম হন।
রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিয়ে আটকে থাকা ১১টি এলপিজি ট্যাঙ্কার, ৬৪টি তেলের ট্যাঙ্কার, ১০টি খাদ্যবাহী ট্রাক, ৫টি ওষুধবাহী ট্রাক ইম্ফল পর্যন্ত নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আগামী কাল রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। তার আগে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কমিশন নিজেও পরিস্থিতি যাচাই করতে পারে। মণিপুরে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরামর্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই ১২ বা ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মণিপুরে আসার কথা। আজ মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি রওনা হন।
গত কাল কামজং জেলার কামজঙে আসাম রাইফেলসের টহলদার বাহিনীকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি চালালে এক জওয়ান ঘটনাস্থলে মারা যান। জখম হন এক জওয়ান। জওয়ানরা জঙ্গল ঘিরে ফেলে পাল্টা গুলি চালাতে থাকেন। জঙ্গলে শিকার করতে ঢোকা এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বিক্ষোভ চলছে।