ছাই চাপা বিদ্রোহের আগুন বেশি দিন দমিয়ে রাখা গেল না। শুক্রবার মেঘালয় মন্ত্রিসভা থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী রোয়েল লিংডো ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ এল হেককে সরিয়ে মার্টিন ডাঙ্গু ও রনি লিংডোকে নিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। শপথ গ্রহণের আগে ও পরে বিদায়ী মন্ত্রীরা, নতুন দুই মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন— দলে কোনও বিদ্রোহ নেই। কারও চাপে মন্ত্রিসভার রদবদল হয়নি। এটা নিছকই নিয়মমাফিক প্রক্রিয়া। রোয়েল ও হেকও জানান, তাঁদের আপত্তি ছিল না।
কিন্তু শপথগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা না কাটতেই রোয়েল কংগ্রেসের নেতৃত্ব বদলের দাবিতে সরব হলেন। তিনি জানান, মুকুল সাংমার নেতৃত্বে চললে উপনির্বাচনের মতো বিধানসভা নির্বাচনেও দলের ভরাডুবি হবে। তিনি জানান, দলে বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে সুযোগ পেলেই তিনি মুকুলকে সরানোর ব্যাপারে আলোচনায় বসবেন।
প্রায় দু’বছর ধরে মুকুলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসি বিধায়কদের একাংশ বিদ্রোহ করছেন। দলের বিদ্রোহ ঠেকাতে এআইসিসি দুই নতুন মন্ত্রীকে সামিল করার সবুজ সংকেত দিয়েছিল। রোয়েল ও হেক ছিলেন সাংমা শিবিরের মন্ত্রী। তাঁদের উপরে প্রথম কোপ পড়ায় আপাতত দু’জনই বিরোধী শিবিরে চলে গিয়েছেন। রোয়েল তিন দিন আগেও বলেছিলেন, তিনি স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিচ্ছেন। কিন্তু এ দিন তিনি বলেন, “কোনও দোষ ছাড়াই আমাকে বাদ দেওয়া হল। মুকুল একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। তাঁর হাতে সরকার থাকলে দল আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আমি বিদ্রোহী শিবিরে ছিলাম না। বরাবর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে চলেছি। এই তার পুরস্কার?”
কিন্তু আগে কেন মুকুলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি তিনি? মাওকিরওয়াটের প্রবীণ বিধায়ক লিংডো জানান, মন্ত্রিসভায় থেকে মুকুলের বিরুদ্ধে কথা বলা যেত না। এখন তিনি মু্ক্ত। তাঁর দাবি, মুকুল খোদ নিজের স্ত্রীকে গারো হিলে জেতাতে পারেননি। বাকি রাজ্য দূরের কথা, গারো হিলের লোকই মুকুলকে মানতে পারে না।