Dalit Girl

উন্নাওয়ের পর আলিগড়, মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ দলিত কিশোরীর দেহ উদ্ধার গমখেত থেকে

গোটা ঘটনায় ফের এক বার মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আলিগড় শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২১ ১১:২২
Share:

ঘটনাস্থলে ফরেনসিক দল। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।

ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি নেতাদের মুখে। কিন্তু যোগীরাজ্যে মেয়েদের নিরাপত্তা অধরাই। এ বার ১৬ বছরের এক দলিত কিশোরীর দেহ উদ্ধার হল আলিগড়ে। ঘাস কাটতে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল মেয়েটি। রাতে গমখেত থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

রবিবার আলিগড়ের আকরাবাদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সকালে বেরিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার পরিবারের লোকজন। খোঁজ না মেলায়, গ্রামের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে রাত হলেও মেয়েটির সন্ধান মেলেনি। শেষমেশ রাতের দিকে এলাকার একটি গমখেত থেকে মেয়েটির দেহ মেলে।

খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে হাজির হল আলিগড় পুলিশের একটি দল। কিন্তু সেখানে গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়তে হয় তাদের। মেয়েটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করেন এলাকার মানুষ। তাতে প্রণেন্দ্র কুমার নামের এক ইনস্পেক্টর আহত হন।

Advertisement

পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে মেয়েটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আলিগড়ের সিনিয়র পুলিশ সুপার মুনিরাজ বলেন, ‘‘ঘাস কাটতে বেরিয়েছিল মেয়েটি। বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোকজন এবং গ্রামবাসীরা। রাতে খেত থেকে মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়।’’

মেয়েটিকে খুন করা হয়েছে কি না, তার উপর কোনও রকম শারীরিক নির্যাতন হয়েছে কি না, এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি আলিগড় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে তারা। ৫ সদস্যের একটি দল গোটা ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানানো হয়েছে। সন্দেহভাজন কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

তবে গোটা ঘটনায় ফের এক বার মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। কারণ সপ্তাহ দু’য়েক আগেই উন্নাওয়ে এক দলিত পরিবারের ১৪, ১৫ এবং ১৬ বছর বয়সি ৩ কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়। তাদের মধ্যে এক জন প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায়, পাশের গ্রামের এক যুবক তাদের কীটনাশক মেশানো জল খাওয়ায় বলে অভিযোগ। ওই ৩ কিশোরীর মধ্যে ২ জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। কানপুর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে তৃতীয় কিশোরীটি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement