প্রতীকী ছবি।
২০ বছর লিভ ইন সম্পর্কে থাকার পর বিয়ে করলেন উত্তরপ্রদেশের বৃদ্ধ যুগল। ধুমধাম করে বিয়েও সারলেন তাঁরা। নবদম্পতির এই বিয়ের সাক্ষী থাকলেন তাঁদেরই একমাত্র সন্তান।
বছর ষাটের নারায়ণ রাইদাস বিয়ে করলেন পঞ্চান্ন বছরের রামরতিকে। এবং সেই সঙ্গে পরিণতি পেল তাঁদের দু’দশকের ভালবাসার সম্পর্ক। ২০০১-এ নারায়ণের সঙ্গে রামরতির প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই পথচলা শুরু। দু’জনেরই পরিবারের কোনও সদস্য না থাকায়, নারায়ণ এবং রামরতি একসঙ্গে থাকা শুরু করেন।
উন্নাওয়ের রসুলপুর রুরি গ্রামে তাঁরা একসঙ্গে বসবাস করা শুরু করেন। দু’জনেই চাষের কাজ করে সংসার চালাতেন। একে অপরকে বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকার জন্য প্রতি দিন গ্রামবাসীদের গঞ্জনা এবং লাঞ্ছনার শিকার হতে হতো নারায়ণদের। কিন্তু তাঁদের ভালবাসার কাছে যেন সেই গঞ্জনা, লাঞ্ছনা তুচ্ছ ছিল। সব সহ্য করেও একে অপরের সঙ্গ দিয়ে গিয়েছেন দু’দশক ধরে। তাঁদের ১৩ বছরের একটি ছেলেও আছে। নাম অজয়।
প্রতিনিয়ত গঞ্জনার শিকার হতে দেখে গ্রামপ্রধান রমেশ কুমার, সমাজকর্মী ধর্মেন্দ্র বাজপেয়ী এবং সুনীল পাল নারায়ণকে বিয়ে করার পরামর্শ দেন। গ্রামপ্রধান বিয়ের সব খরচ বহন করার আশ্বাসও দেন। শেষমেশ বিয়েতে রাজি হয়ে যান নারায়ণ-রামরতি। ছেলের উপস্থিতিতে দু’হাত এক হয়। গ্রামবাসীরাও আনন্দে মেতে ওঠেন। মধুরেণ সমাপয়েৎ।