Uttar Pradesh

হাথরসের পর ভাদোহী, ফের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ যোগী-রাজ্যে

হাথরস গণধর্ষণ-কাণ্ডের পর ফের আরও এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভাদোহী শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২০ ২২:১৪
Share:

অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।

হাতরসের গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে যখন উত্তাল গোটা দেশ, সে সময় ফের এক বার ধর্ষণের অভিযোগ উত্তরপ্রদেশে। মাথা পাথর দিয়ে থেঁতলানো। মুখ চেনা যাচ্ছে না। ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুন করা হল এক দলিত কিশোরীকে। হাথরসের পর এ বার ভাদোহী। ফের এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উত্তরপ্রদেশে। অভিযোগ, ধর্ষণের পর নৃশংস অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে। বৃহস্পতিবার ভাদোহী জেলার একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তার দেহ। হাথরস গণধর্ষণ-কাণ্ডের রেশ এখনও তাজা। এই আবহে ফের আরও এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গোপালগঞ্জ থানা এলাকার চকরাজারাম তিওয়ারিপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী শৌচকর্ম করতে এ দিন সকালে বাড়ির অদূরেই একটি মাঠে গিয়েছিল। অভিযোগ, সে সময়ই তার উপর অত্যাচার চালায় দুষ্কতীরা। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, নৃশংস ভাবে খুনের আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

এ দিন কিশোরীর বাড়ির কাছে একটি মাঠ থেকেই তার বিকৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, উদ্ধারের সময় ওই কিশোরীর মাথা পাথর দিয়ে থেঁতলানো ছিল। মুখ এতটাই বিকৃত ছিল যে তাকে চেনা যাচ্ছিল না। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। যদিও কিশোরীর পরিবার ধর্ষণের অভিযোগ করলেও এখনই তা নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকেরা। ওই মাঠ থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: যোগী আমলে ধর্ষণ করে খুনের রমরমা ‘উত্তমপ্রদেশে’

আরও পড়ুন: যোগীকে গোরক্ষপুরে পাঠান, রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়ে তোপ মায়ার

ভাদোহীর পুলিশ সুপার রামবদন সিংহ জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। কিশোরীর মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ধর্ষণের বিষয়টি স্পষ্ট হবে। তাঁর কথায়, “নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছি কি না, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে তা বোঝা যাবে।”

চলতি সপ্তাহেই দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষিতা ১৯ বছরের এক দলিত কিশোরীর। অভিযোগ, হাথরসের চার উচ্চবর্ণের যুবক তাঁকে গণধর্ষণ করে। এর পর প্রচণ্ড মারধর-সহ অকথ্য অত্যাচার চলে ওই কিশোরীর উপর। শ্বাসরোধ করে খুনের আগে তাঁর দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতও করে অভিযুক্তরা। উদ্ধারের সময় ওই কিশোরীর দুই পা এবং একটি হাত অসাড় হয়ে গিয়েছিল। তাঁর জিভ কাটা ছিল বলেও অভিযোগ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে দিল্লির সফদরজংয়ে স্থানান্তরিত করানো হয়। টানা ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর সোমবার ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এমনকি, ওই কিশোরীর দেহ পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তড়িঘড়ি দাহ করে বলে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রশ্নচিহ্ন উঠে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের মহিলা তথা নাবালিকাদের নিরাপত্তা নিয়েও। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরব হন কংগ্রেসের রাহুল গাঁধী থেকে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা-সহ বহু বিরোধী রাজনীতিকরাও। যোগীর ইস্তফার দাবিতে তোলেন প্রিয়ঙ্কা। এ দিন হাথরসে যাওয়ার পথে গ্রেফতার করা হয় রাহুল গাঁধীকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement