কলকাতা হাই কোর্টের পর উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট খারিজ করল ক্যাট-এর সিদ্ধান্ত। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
কলকাতা হাই কোর্টের পর এ বার উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট। ফের আদালতে খারিজ হল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের (ক্যাট) রায়। ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস (আইএফএস)-এর আধিকারিক সঞ্জীব চতুর্বেদীর আবেদন ট্রাইব্যুনালের নৈনিতাল সার্কিট বেঞ্চ থেকে নয়াদিল্লির প্রিন্সিপাল বেঞ্চে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল ক্যাট। উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট সেই নির্দেশকে খারিজ করে দিয়েছে। গত শুক্রবার একই ভাবে কলকাতা হাই কোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছিল ক্যাট-এর কলকাতা থেকে দিল্লিতে মামলা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত। মামলাটি করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০০২ ব্যাচের আইএফএস আধিকারিক সঞ্জীব চতুর্বেদী বর্তমানে নৈনিতালের হলদোয়ানির মুখ্য বনপাল। তিনি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নৈনিতাল ক্যাট-এ একটি আবেদন করেছিলেন। যুগ্ম সচিব পদে অস্থায়ী নিয়োগের সরকারি সিদ্ধান্তের তদন্ত দাবি করেছিলেন তিনি। কিন্তু গত বছর অক্টোবরে কেন্দ্রীয় সরকার আবেদন জানায়, ক্যাট-এর নৈনিতাল বেঞ্চ থেকে মামলা দিল্লির প্রিন্সিপাল বেঞ্চে সরানোর। ৪ ডিসেম্বর সঞ্জীবের মামলা দিল্লির প্রিন্সিপাল বেঞ্চে স্থানান্তরিত হয়। ১৬ ডিসেম্বর স্থানান্তরের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সঞ্জীব।
এ বছর ২৩ অক্টোবর উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট দিল্লিতে মামলা স্থানান্তরের ক্যাট-এর সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়। জানায়, ক্যাট-এর সব বেঞ্চেরই ক্ষমতা এক। প্রিন্সিপাল বেঞ্চের অতিরিক্ত কোনও ক্ষমতা নেই।
গত শুক্রবার, কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন দিল্লির প্রিন্সিপাল বেঞ্চে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়। অবসরের ঠিক আগে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ সাময়িক বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বর্ধিত সময়সীমা পর্যন্ত কাজ করেননি আলাপন, বরং নির্দিষ্ট দিনেই (৩১ মে, ২০২১) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেন তিনি।
কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর ইয়াস পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিতি নিয়ে বিতর্কে আলাপনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ মন্ত্রক। ওই তদন্ত খারিজের দাবিতে ক্যাট-এর কলকাতা বেঞ্চের দ্বারস্থ হন আলাপন। সঙ্গে জানিয়েছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত কর্মী হিসেবে তাঁর যে সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য, তা তিনি পাচ্ছেন না। কিন্তু সেখানে কোনও স্থায়ী সমাধান হওয়ার আগেই গত ২২ অক্টোবর মামলাটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। কলকাতা থেকে সরিয়ে দিল্লিতে শুনানি করার ক্যাট-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আলাপন। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট ক্যাট-এর শুনানি দিল্লিতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেয়।