হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত।
কংগ্রেস ও বামপন্থীদের ছাত্র সংগঠনগুলিকে পর্যুদস্ত করে আট বছর পর এই প্রথম হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে হইহই করে জিতল সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। ছাত্র সংসদের শীর্ষ স্থানীয় ৬টি পদেই জিতেছেন এবিভিপি প্রার্থীরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র ছিলেন রহিত ভেমুলা। জাতপাতের রাজনীতির বিরোধিতা করার ‘অপরাধ’-এ বছরদু’য়েক আগে যাঁকে খুন হতে হয়েছিল।
সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকের সবক’টি পদই গিয়েছে এবিভিপি-র দখলে। গত বার সংসদ পেয়েছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর নেতৃত্বাধীন জোট।
গত শুক্রবার ওই ভোট হয়েছিল। অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৪ হাজার ছাত্রছাত্রী। ভোটে এবিভিপি লড়েছিল আরও দু’টি ছাত্র সংগঠন আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস ফেডারেশন (ওবিসিএফ) ও সেভালাল বিদ্যার্থী দল (এসএলভিডি)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে। ২০০৯-‘১০ সালের পর হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ভোটে এত বিপুল জয় পায়নি এবিভিপি।
আরও পড়ুন- সমীক্ষায় গো-বলয়ে কংগ্রেসের উত্থান, ভরাডুবির শঙ্কা বিজেপির! প্রভাব লোকসভাতেও?
আরও পড়ুন- ‘দেশদ্রোহী’ তকমা! এবিভিপি-র ছাত্রদের পায়ে ধরে ‘শিক্ষা’ দিলেন অধ্যাপক
ছাত্র সংসদের সভাপতি ও সহ-সভাপতি হয়েছেন যথাক্রমে এবিভিপি প্রার্থী আরতি নাগপাল ও অমিত কুমার। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ধীরাজ সংযোগী ও যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন প্রবীণ কুমার। নির্বাচিত হয়ে সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন অরবিন্দ এস কুমার। ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন নিখিল রাজ কে।
বছরদু’য়েক আগে এই হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়েরই গবেষক ছাত্র রহিত ভেমুলা জাতপাতের বিরোধিতা করায় এবিভিপি-র আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এবিভিপি ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। বলেছিল, রহিত আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু পরে তদন্ত কমিশন তা খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছিল রহিত খুন হয়েছিলেন।