১৯৭৮ সালে এক গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরে তালা পড়েছিল মন্দিরের দরজায়। —প্রতীকী চিত্র।
গত মাসের শেষের দিকে খবরের শিরোনামে এসেছিল উত্তরপ্রদেশের এই ছোট শহর। একটি মসজিদে সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সম্ভল। গোষ্ঠী সংঘর্ষে সেখানে মৃত্যু হয় চার জনের। আহত হন পুলিশকর্মী-সহ অনেকে। এ বার সেই সম্ভলেই খুলল ৪৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা একটি মন্দির। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ১৯৭৮ সালে এক গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরে তালা পড়েছিল মন্দিরের দরজায়। সম্প্রতি ভস্ম শঙ্কর নামে ওই মন্দির চত্বর লাগোয়া এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছিল প্রশাসন, তখনই সরকারি কর্মীদের নজরে আসে প্রাচীন ওই মন্দিরটি। গত শুক্রবার থেকে মন্দিরটি ফের দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
যে শাহি জামা মসজিদের সমীক্ষা ঘিরে গত মাসে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সম্ভল, তার থেকে কার্যত ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে ওই মন্দির। মন্দিরের ভিতরে রয়েছে হনুমানের মূর্তি এবং একটি শিবলিঙ্গ। সম্ভলের এসডিএম বন্দনা মিশ্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খাগ্গু সরাই এলাকায় মন্দিরটি রয়েছে। সেখান থেকে বহু দিন ধরে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ আসছিল। প্রশাসনের তরফে তাই ওই এলাকায় তাই দফায় দফায় নানা অভিযান চালানো হচ্ছিল। সম্প্রতি এক উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন মন্দিরটি নজরে আসে। বন্দনা জানান, মন্দিরটি চোখে পড়ার পরে জেলা প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। এর পরে সব স্তরে আলোচনা করে মন্দিরটি ফের খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্দির চত্বরে একটি কুয়ো রয়েছে। সেটিও সংস্কার করে ফের ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মুকেশ রস্তোগি জানালেন, তিনি শুনেছেন মন্দিরটি অন্তত ৫০০ বছরের পুরনো। তাঁর কথায়, ‘‘পরিবারের বয়স্কদের কাছে শুনেছি এক সময়ে ওই মন্দির লাগোয়া এলাকায় নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের মানুষের বাস ছিল। কিন্তু ১৯৭৮ সালে সেখানে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাধে। তার পরে সেখানকার মানুষ অন্যত্র গিয়ে বসবাস শুরু করেন। মন্দিরের দরজায় তালা পড়ে যায়। তার পর থেকে সেটি বন্ধই পড়েছিল।’’