দল ও সরকারের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর বিবাদ থামেনি। ছবি: সংগৃহীত।
পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়েছে। দল ও সরকারের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর বিবাদ কিন্তু থামেনি। অ্যাডভোকেট জেনারেল এপিএস দেওলকে সরানোর জন্য শুক্রবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। আজ দেওল সিধুকে পাল্টা আক্রমণ করে মুখ খুলেছেন। কারও নাম না করেও সরকারের আইন বিষয়ক প্রতিনিধিদের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নীও।
গত কালই নিজের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েও সিধু হুমকি দিয়েছেন, দেওল পদ থেকে সরা না পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না তিনি। ২০১৫-য় গুরু গ্রন্থ সাহিবের অবমাননা এবং প্রতিবাদীদের উপরে পুলিশের গুলি চালনার মামলায় প্রাক্তন পুলিশ কর্তা সুমেধ সাইনির হয়ে আদালতে লড়েছেন দেওল, এই কারণে তাঁর অপসারণ চান সিধু। ওই মামলার সূত্রেই নতুন ডিজিপি ইকবালপ্রীত সিংহ সাহোতাকেও সরানোর দাবি তুলেছেন তিনি।
শনিবার বিবৃতি দিয়ে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন দেওল। তাঁর অভিযোগ, ২০১৫-র ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার দেওয়ার চেষ্টা যথাসাধ্য করছে সরকার। সিধুই বারবার নানা রকম কথা বলে সেই কাজকে ব্যাহত করতে চাইছেন। ওই ঘটনার সঙ্গে মাদক যোগের মামলাতেও তাঁর বক্তব্যের বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
সেপ্টেম্বর মাসে অতুল নন্দা পদত্যাগ করার পরে অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসাবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন দেওল। তাঁর কথায়, ভোটের মুখে সিধু যে ভাবে লাগাতার প্রকাশ্যে দল ও সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন, তার পিছনে কায়েমি স্বার্থ রয়েছে। এটা পরিকল্পিত ভাবে কংগ্রেসকে হেয় করার চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। সিধু নিজের রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য অ্যাডভোকেট জেনারেলের মতো সাংবিধানিক পদকে রাজনীতির সঙ্গে জড়াচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন দেওল।
এর আগে দেওল ইস্তফা দিতে চাইলেও তা গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী চন্নী। আজ তিনি নিজেও নীরবতা ভঙ্গ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি দেওল এবং সাহোতার পাশেই আছেন। একটি অনুষ্ঠানে তিনি কারও নাম না করে সরকারের আইন বিষয়ক প্রতিনিধিদলের কাজের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, ‘‘২০১৫-র ঘটনা সংক্রান্ত মামলায় আমাদের লিগাল টিম গুরমিত রাম রহিমকে জেরা করার অনুমতি পেয়েছে। ওই ঘটনায় মাদক যোগের বিষয়েও মামলা এগোচ্ছে। আশা করা যায়, ১৮ নভেম্বর আদালতে জমা পড়া সিল করা রিপোর্ট খোলা হবে।’’ সুতরাং দেওল বা সাহোতাকে সরানোর কথা যে ভাবছেন না, চন্নীর এই কথায় তা স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।