Sumitra Mahajan

মুছে গেল রাজনীতির ভেদাভেদ, মহানবমীর রাতে ধুনুচি নাচে মাতলেন অধীর ও সুমিত্রা

বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী আর লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের মধ্যে বরাবরই বিরোধিতার সম্পর্ক। নবমীর রাতে এখানে ধুনুচি নাচে অংশ নিলেন কংগ্রেস ও বিজেপি দুই শীর্ষনেতা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৮ ২১:১৭
Share:

সৌজন্যের ছবি। নয়াদিল্লিতে অধীর ও সুমিত্রা। নিজস্ব চিত্র।

মহানবমীর রাতে ভেঙে গেল সব বেড়াজাল। উৎসবের আনন্দে মাতলেন আট থেকে আশি সকলেই। কলকাতা, রাজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা হলেন রাজধানীর বাঙালিরাও। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে ছোট বড় মিলিয়ে পুজোর সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই রাজ্যে না থাকলেও উৎসবের আনন্দে কোনও কমতি ছিল না।

Advertisement

বাঙালির নিজস্ব এই উৎসব রাজধানীতে অবশ্য শুধু বাঙালিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। অন্যান্য প্রদেশ ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষেরাও পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিলেন নিজেদের মধ্যে, যা ভেঙে দিল জাতি, ধর্ম, বর্ণ আর রাজনীতির ভেদাভেদ।

এই রকম ছবিই দেখা গেল পান্ডারা রোডে নয়াদিল্লি সর্বজনীন দুর্গোৎসবে। নবমীর রাতে এখানে ধুনুচি নাচে অংশ নিলেন কংগ্রেস ও বিজেপি দুই শীর্ষনেতা। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী আর লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের মধ্যে বরাবরই বিরোধিতার সম্পর্ক।

Advertisement

সংসদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই তাঁদের বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। যদিও মহানবমীতে সেই বিরোধিতার কোনও রেশ ছিল না তাঁদের মধ্যে। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ধুনুচি নৃত্যে অংশ নিলেন তাঁরা। পুজো দেখতে আসা স্থানীয় মানুষেরাও রাজনীতির বেড়াজাল ভেঙে দেওয়া এই দৃশ্য দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন। সৌজন্যের এই ছবিটাই বুঝিয়ে দিল পুজোর আসল আবেগ।

আরও পড়ুন: অষ্টমীর রাতে প্যান্ডেলে ঢুকে খুন, গুলি-বোমায় পণ্ড ইলাহাবাদের দুর্গাপুজো

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement