ফাইল চিত্র।
পরের কোনও অতিমারি শুরুর আগেই যেন আগাম তৈরি থাকে বিশ্ব। এমনটাই আশা রাখেন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনাওয়ালা। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মঞ্চে অংশ নিতে সুইৎজ়ারল্যান্ডের দাভোসে গিয়েছেন ভারতীয় এই শিল্পপতি। সেখানেইএক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আদার জানিয়েছেন, পরবর্তী অতিমারির কথা মাথায় রেখে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি করতে চান তিনি।
আদার জানিয়েছেন, দাভোসের সম্মেলনের ফাঁকেই বেশ কয়েকটি বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করার কথা তাঁর। ইতিমধ্যেই এই ‘অতিমারি চুক্তি’র একটি খসড়া তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। বাকি কথা এগোনোর জন্য প্রয়োজন আলোচনার। আদারের কথায়, ‘‘এটা কারও উপরেই জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। তবে এটা কোনও একটা নির্দিষ্ট দেশের কাজও নয়। সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে যাতে পরবর্তী অতিমারিতে রুখে দাঁড়ানো যায়।’’
আদারের আরও বক্তব্য, এই অতিমারিতে প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে সংস্থাগুলির কোথায় ভুল হয়েছে, কোথায় তারা ঠিক ভাবে এগিয়েছে, তা এখন জানা হয়ে গিয়েছে। তাই পরবর্তী সময়ে এ বারের ভুল যাতে না হয়, তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রতিষেধকের ব্যবহারের ফলে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা অনেক ক্ষেত্রেই রোখা গিয়েছে। প্রতিষেধক নিয়ে কেউ আক্রান্ত হলেও কম উপসর্গ থাকায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পেরেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়তে গোটা বিশ্ব যেমন একত্রিত হয়েছে, আদার চান ঠিক একই ভাবে ‘অতিমারি চুক্তি’র ক্ষেত্রেও সেই ধরনের পরিকাঠামো গড়ে উঠুক। আর তার জন্য সব দেশকেই এগিয়ে আসতে হবে।
আদারের কথায়, ‘‘এর পরে এমন প্রতিষেধক তৈরি করতে হবেযা এই ধরনের সংক্রামক রোগঅন্যের শরীরে প্রবেশের আগেই তা রুখে দেওয়া যায়।’’ আর তার জন্যসর্বসম্মত ভাবে গৃহীত আন্তর্জাতিক চুক্তি তৈরিরখুব প্রয়োজন বলে মনে করেনসিরাম কর্তা।