আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির প্রধানের ‘যোগসূত্র’ উল্লেখ করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আমেরিকার বেসরকারি সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর যখন তুঙ্গে, তখন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গকে পাল্টা আক্রমণ করল শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থা।
রবিবার শিল্পগোষ্ঠীটির এক মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে দাবি করেন যে, জনসমক্ষে প্রকাশিত তথ্যের কিছু মিথ্যা, ক্ষতিকর এবং বিদ্বেষমূলক অংশ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত লাভের জন্য পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে। এর পাশাপাশি হিন্ডেনবার্গকে আক্রমণ করে সেখানে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আমেরিকার এই সংস্থাটির বিরুদ্ধে একাধিক বার ভারতের আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে হিন্ডেনবার্গে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগ তুলেছিল। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রবিবারের বিবৃতিতে আদানি গোষ্ঠীর তরফে লেখা হয়েছে, “সবিস্তার তদন্তের পর প্রমাণিত হয়ে গিয়েছিল যে, অভিযোগ ভিত্তিহীন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টও মামলা খারিজ করে দেয়।’’
আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ শনিবার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখে, “আদানিরা বিদেশে যে টাকা সরিয়েছেন, তাতে অংশীদারিত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবির প্রধানের।” হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয়, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের। ২০১৭ সালে সেবিতে যোগ দেন মাধবী। রিপোর্টে এ-ও দাবি করা হয়, সেই সময় সম্ভাব্য নজরদারি এড়াতে মাধবীর নামে থাকা সমস্ত বিদেশি বিনিয়োগ নিজের নামে করে নেন তাঁর স্বামী। এই অভিযোগকে ‘চরিত্রহননের চেষ্টা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বুচ দম্পতি। তবে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।
আদানি গোষ্ঠীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের নথিভুক্ত বিদেশি সংস্থাগুলির গঠন পুরোপুরি স্বচ্ছ। নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিনিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয় বলেও দাবি করেছে শিল্পগোষ্ঠীটি। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ প্রসঙ্গে শিল্পগোষ্ঠীটির তরফে বলা হয়েছে, সংস্থার সুনাম করতে এটি একটি পরিকল্পিত ছক।