আদানিকে নিয়ে আলোচনার দাবি উঠতেই তুমুল হট্টগোল শুরু সংসদে। প্রতীকী ছবি।
শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন বিরোধীরা। সেই দাবি নিয়ে সংসদের দুই কক্ষে হট্টগোল শুরু হতেই ২টো পর্যন্ত মুলতবি হয়ে গেল লোকসভা এবং রাজ্যসভার বাজেট অধিবেশন।
বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা। বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই সংসদের বিরোধীদের কক্ষে একজোট হয়েছিল সমস্ত সমমনস্ক বিরোধী দল। তাদের আলোচনার বিষয় ছিল, আদানির বিরুদ্ধে ওঠা আমেরিকার সংস্থার অভিযোগ নিয়ে সংসদের বাজেট অধিবেশনে আলোচনা করতে হবে। বৃহস্পতিবার সংসদের দুই কক্ষেই এই দাবি তোলার সিদ্ধান্ত নেন বিরোধীরা।
কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়্গের নেতৃত্বে হয় বৈঠক। তাতে যোগ দিয়েছিল, তৃণমূল, কংগ্রেস, আপ, ডিএমকে, শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, কেরালা কংগ্রেস, জেডিইউ, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি-সহ বামদলগুলিও। সেই বৈঠকেই আদানিকে নিয়ে লোকসভায় বিশদ আলোচনার ব্যাপারে সহমত হন বিরোধীরা। সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই সেই দাবিতে সরব হন বিরোধীরা। এর পরই আদানিকাণ্ড নিয়ে হইচই শুরু হয় লোকসভা এবং রাজ্যসভায়। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বাজেট অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায় বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত।
সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা ঢেলেছে যে আদানি শিল্পগোষ্ঠী, তার বিরুদ্ধেই জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে আমেরিকার একটি সংস্থা। তাদের দাবি, আদানির সংস্থা বাজারকে ইচ্ছেমতো প্রভাবিত করে শেয়ারের দর নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি, অভিযোগ ছিল তাদের হিসাবরক্ষণেও রয়েছে বিপুল অনিয়ম। আদানিগোষ্ঠী অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের জবাব দিয়েছে। কিন্তু এই বিতর্ক প্রকাশ্যে আসতে বাজার থেকে মুছে গিয়েছে কয়েকশো কোটি টাকা। এই বিতর্ক প্রকাশ্যে আসার পর থেকে টানা পড়ে চলেছে তাদের সাতটি সংস্থার শেয়ার দর। এই পরিস্থিতিতে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের নতুন শেয়ার ছাড়ার (এফপিও) প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায় বুধবার। ঘটনাচক্রে, এটা হয় সেই দিনই, যে দিন দেশের অর্থনীতির বার্ষিক দিকনির্দেশ কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাব করেছেন নরেন্দ্র মোদীর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর পরের দিনই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চান বিরোধীরা। আর সেই দাবিতে হট্টগোল হতেই মুলতবি হয় সংসদের অধিবেশন।