প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াকে গণধর্ষণের আগে মোবাইলে পর্ন ভিডিয়ো দেখেছিল নাবালকেরা। শুধু তাই-ই নয়, কী ভাবে খুন করতে হবে তা-ও ভিডিয়ো থেকেই শিখেছিল ওরা! অন্ধপ্রদেশে শিশুকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে।
গত ৭ জুলাই তৃতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়া বাড়ির কাছেই একটি পার্কে খেলছিল। সেখান থেকে তাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির তিন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছিল, শিশুটিকে খুনের পর অভিযুক্ত নাবালকেরাই খালে দেহ ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু তদন্তে উঠে আসে অন্য তথ্য।
ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের অভিভাবকদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। নান্দিয়ালের পুলিশ সুপার অধিরাজ সিংহ রানা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পড়ুয়াদের যাতে কোনও আইনি ঝামেলায় পড়তে না হয় তাই তাদের অভিভাবকদের কয়েক জন শিশুটির দেহ লুকিয়ে কৃষ্ণা নদীর ধারে নিয়ে যান। তার পর সেই দেহে পাথর বেঁধে নদীতে ছুড়ে ফেলে দেন।
গত ১০ জুলাই তিন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শিশুটিকে খুনের পর একটি খালের ধারে অপেক্ষা করে অভিযুক্ত পড়ুয়ারা। তার পর তারা আত্মীয়দের খবর দেয়। তড়িঘড়ি সেখানে অভিযুক্তদের আত্মীয়েরা আসেন। তার পর শিশুটিকে কৃষ্ণা নদীর ধারে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পড়ুয়াদের আত্মীয়দেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।